সিরাজগঞ্জে আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক বিজয় হত্যা মামলার বাদীকে অপহরণের অভিযাগে আটক কামারখন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ রেজা পাভেল ও সাধারণ সম্পাদক মামুন শেখকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বুধবার আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এদিকে মঙ্গলবার মামলা দায়েরের জন্য কামারখন্দ থানায় পৌঁছালে থানার ভেতরে ওসির কক্ষে নিহতের বাবা ও তার বড় ভাইকে প্রতিপক্ষরা লাঞ্ছিত করে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত বিজয়ের বড় ভাই রুবেল প্রামাণিক জানান, মঙ্গলবার বিকেলে আমরা মামলা দায়েরের জন্য কামারখন্দ থানায় যাওয়ার পথে পাভেলসহ তিনজন আমাদের পিছু নেয়। এসময় আমরা দ্রুত থানায় ওসি সাহেবের রুমে ঢুকে পড়ি। খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বেশকিছু নেতাকর্মী ঘটনাস্থলে চলে আসে এবং একপর্যায়ে তাদের কয়েকজন অফিসের রুমের মধ্যেই আমাকে ও বাবাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং সাদা কাগজে টিপসই নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় ওসি সাহেব ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদেরকে বের করে দেয়। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
কামারখন্দ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবির জানান, সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক থানায় যাই। থানার বাইরে পাভেলের সমর্থক নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করলেও তারা থানার ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি। এসময় ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করায় মামুন শেখ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে অপহরণ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার বিকেলে বিজয় হত্যা মামলার বাদী রুবেলের বাবা আব্দুল কাদের প্রমাণিক বাদী হয় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা হওয়ার পরই থানা এলাকা থেকে অপহরণ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি পারভেজ রেজা পাভেল ও মামুন শেখকে গ্রপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে তার কক্ষে বাদীপক্ষের লোকজনকে লাঞ্ছিত করার ঘটনাটি তিনি অসত্য বলে জানান।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের স্মরণে ছাত্রলীগ আয়োজিত দোয়া মাহফিলে যোগ দিতে যাওয়ার পথে শহরের বাজার স্টেশন এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক ও কামারখদ সরকারি হাজী কারপ আলী ডিগ্রি কলেজ শাখার সভাপতি এনামুল হক বিজয়কে মাথায় কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ। ৯ দিন পর ৫ জুলাই তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় বড় ভাই রুবেল বাদী হয়ে ছাত্রলীগের ৫ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। কালের কণ্ঠ