মিয়ানমারের বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রায় একশ’ জন জাতিগত রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার এই অভিযান চালানো হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টুমরো নিউজ জার্নালের প্রকাশ করা এক ছবিতে দেখা গেছে খালি পায়ের বেশ কিছু পুরুষ আর রঙিন স্কার্ফে মাথা ঢাকা বেশ কিছু নারী আদালতের আঙিনায় বসে রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের কারণ জানানো না হলেও অবৈধভাবে ভ্রমণের অজুহাতে তাদের আটক করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
নিজেদের রাজ্য রাখাইনের বাইরে গেলে মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ প্রায়ই রোহিঙ্গাদের অবৈধ ভ্রমণের অভিযোগে আটক করে থাকে। বুধবার ইয়াঙ্গুনের সুয়ে পাই থার টাউনশিপ থেকে রোহিঙ্গা গ্রুপটিকে আটক করা হয়েছে। সেখানকার পুলিশ ক্যাপ্টেন তিন মং লুইন তাদের আটকের কথা স্বীকার করলেও বিস্তারিত প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
মিয়ারমারে প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গা মানবেতর পরিস্থিতিতে বসবাস করছে। এদের বেশিরভাগই বিভিন্ন শিবির, দুর্গম গ্রামে বসবাস করছে। তাদের স্বাধীন চলাচলের সুযোগ খুবই সীমিত। দেশটিতে দীর্ঘকাল বসবাস করে আসলেও রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করে মিয়ানমার।
ইয়াঙ্গুনে আটক রোহিঙ্গাদের দ্রুত মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার গ্রুপ ফর্টিফাই গ্রুপ। গ্রুপটির সিনিয়র মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ জন কুইনলি বলেন, ‘কেবল নিজ দেশে ভ্রমণের কারণে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের রোহিঙ্গাদের আটক করার নীতি অব্যাহত রাখতে দেখা বিরক্তিকর। অবিলম্বে আটক রোহিঙ্গাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন তিনি।