পবিত্র ভূমি সৌদি আরবে এবার মুশরিক হিন্দুত্ববাদীদের ‘রামায়ণ ও মহাভারতের’ মতো মনগড়া বানোয়াট কিচ্ছা কাহিনীকে দেশটির পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছে ইসলাম বিদ্বেষী সৌদি প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। ইহুদি ঘেঁষা এই ক্রাউন প্রিন্স সৌদি আরবে ইসলামের ইতিহাসকে কলুষিত করে পশ্চিম পশু সভ্যতার মতো সাজাতে চাইছে। আধুনিকতার নামে শুরু থেকেই প্রিন্স সালমান বিভিন্ন পদক্ষেপ মুসলিমদের মনে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। সৌদি আরবে সিনেমা হল খোলা, ডান্স বারের উদ্বোধন থেকে শুরু করে নারীদের স্বাধীনতার নামে গাড়ি চালানো এবং সম্প্রতি মসজিদুল হারামে নারী নিরাপত্তা রক্ষীদের নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি ভালোই আলোড়ন ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
তবে এবার প্রিন্স সালমান তার সৌদি আরব ভিশন ২০৩০ এর প্রেক্ষিতে সেখানকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন দৃষ্টিভঙ্গির অংশ হিসাবে অন্যান্য দেশের ইতিহাস এবং সংস্কৃতি অধ্যয়নের নামে নাস্তিকতা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এরই অংশ হিসাবে শিক্ষার্থীদের রামায়ণ ও মহাভারত শেখানো হবে বলে জানা গেছে। সৌদির বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী সৌদি আরবের স্কুলগুলোতে পড়ানো বিভিন্ন বইয়ের পৃষ্ঠার ছবি তুলে পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি কীভাবে ইতোমধ্যেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সৌদি আরবের পাঠ্যসূচিতে। সেখানে হিন্দুধর্ম, বৌদ্ধধর্মের মতো বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শুধু রামায়ণ-মহাভারতই নয়, ভারতীয় সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয়েও পাঠ দেয়া হবে ছাত্র-ছাত্রীদের। তার মধ্যে থাকছে যোগচর্চা, আয়ুর্বেদের মতো প্রাচীন শিক্ষাও। নতুন সিলেবাসে বিভিন্ন ধর্ম নিয়েও পাঠদান করা হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আরও বেশি সর্ব ধর্ম সম্পর্কে সহিষ্ণু (অসাম্প্রদায়িক তথা নাস্তিক) করে তুলতেই এই উদ্যোগ।
তবে এ নিয়ে খোদ সৌদি আরবের বাসিন্দাদের মাঝে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সৌদি আরবের মুসলিমরা বলছেন, এভাবে কাহিনি নির্ভর ও ভিত্তিহীন একটি ধর্মের ব্যাপারে কোমলমতি শিশুদের শিক্ষা দেয়ার মাধ্যমে কোন উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায় সৌদি প্রশাসন তা আমাদের বোধগম্য নয়।
ইন্নালিল্লাহ
নাউজুবিল্লাহ
ইন্নালিল্লাহ….
হে আল্লাহ! তুমি বিশ্বকে তাগুতদের থাবা থেকে হেফাজত করুন । আমিন….
পাকিস্তানের আপডেট খবর গুলি বেশী বেশী প্রকাশ করুন