পাকিস্তানের গাদ্দার প্রশাসন টিটিপির সাথে করা যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করার পর থেকে দেশটির সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ বাড়িয়েছে ইসলামিক প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান। যার ফলে টিটিপি কর্তৃক পরিচালিত গত ৪ দিনের হামলায় দেশটির ৩৩ এরও বেশি গাদ্দার সৈন্য নিহত ও আহত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তান গাদ্দার প্রশাসন টিটিপির সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করার পর, গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত গাদ্দার সামরিক বাহিনীর উপর একে একে ৯টি পৃথক হামলা চালিয়েছেন টিটিপির মুজাহিদগণ।
টিটিপির ইসলামিক প্রতিরোধ যোদ্ধাদের দ্বারা এসব আক্রমণগুলি বাজোর এজেন্সী, উত্তর ও দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান, রাওয়াপিন্ডি, বান্নু, পাঞ্জাব ও উপজাতীয় অঞ্চল লাকি মারওয়াতে অবস্থিত দেশটির গাদ্দার সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন ঘাঁটি, চেকপোস্ট, টহলরত কাফেলা, সামরিক ট্রাক ও চৌকিগুলো টার্গেট করে পরিচালিত হয়েছিল।
আঞ্চলিক সংবাদ মাধ্যম ও টিটিপির মুখপাত্রের একাধিক টুইট বার্তার সূত্রে জানা গেছে যে, মুজাহিদদের এসব বীরত্বপূর্ণ হামলার ৭ টিতেই প্রায় ২৩ এরও বেশি সেনা ও পুলিশ সদস্য নিহত ও আহত হয়েছে।
টিটিপির মুখপাত্র জানান যে, বাকি ২টি হামলাই চালানো হয়েছিল গারিওম সীমান্তে গাদ্দার সেনাদের বহনকারী ২টি সামরিক ট্রাক টার্গেট করে। যার ফলশ্রুতিতে এক হামলায় ট্রাকে থাকা সকল গাদ্দার সৈন্য হতাহত হয়েছিল। এসময় হতাহত সৈন্যদের উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে হেলিকপ্টার অবতরণ করে এবং আহত ও নিহত সৈন্যদের সরিয়ে নেয়। ফলে হতাহতের সঠিক সংখ্যা ততক্ষণাৎ জানা সম্ভব হয় নি। এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে যে, এই হামলায় ১০ এরও বেশি সৈন্য হতাহত হয়েছিল।
মুজাহিদদের অপর হামলাটিতেও সেনাদের সামরিক ট্রাকটি পরিপূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। যার ফলে এতেও সকল আরোহী গাদ্দার সৈন্য হতাহত হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ৪ দিনের এই অভিযানগুলো নিয়ে গত সপ্তাহে টিটিপির মুজাহিদগণ পাকিস্তান জুড়ে প্রায় ১৬ টিরও বেশি বীরত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনা করেছেন। যাতে পাকিস্তান গাদ্দার প্রশাসনের ৫৭ এরও বেশি সৈন্য নিহত ও আহত হয়েছে।
শরিয়াহ প্রতিষ্ঠার এই লড়াইয়ে পাকিস্তানের গাদ্দার সামরিক বাহিনীগুলোর বিরুদ্ধে টিটিপির বীরত্বপূর্ণ ও ক্রমবর্ধমান সফল হামলারধারা অব্যাহত থাকবে বলেও আশা করা হচ্ছে, ইনশাআল্লাহ্।