রুশ সেনাবহরে আল-কায়েদার হামলা : হতাহত একডজনেরও বেশি

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির মধ্যাঞ্চলে রুশ ভাড়াটে সেনাদের একটি সামরিক কনভয় বোমা হামলার শিকার হয়েছে। এতে বাহিনীটির এক উপদেষ্টা সহ ডজনখানেক সৈন্য হতাহত।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯শে এপ্রিল মঙ্গলবার মালির মুপ্তি অঞ্চলের হোমবরি এলাকার কাছে একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। দখলদার রাশিয়ান ভাড়াটে সেনাবাহিনী এবং ক্রুসেডারদের গোলাম মালিয়ান সেনাবহর উক্ত হামলায় লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।

বরকতময় এই হামলায় রুশ ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার’এর কমপক্ষে এক সামরিক উপদেষ্টা এবং মালিয়ান সেনাবাহিনীর এক ডজনেরও বেশি সৈন্য নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অসংখ্য রুশ ও মালিয়ান সৈন্য। আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের এবং সেনাবাহিনীর নথির ভিত্তিতে এএফপির খবর অনুযায়ী, নিহত রাশিয়ান ভাড়াটে সৈন্যকে হেলিকপ্টারে করে এই অঞ্চলের সেভারে বসতিতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্যমতে, বৈশ্বিক ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদার পশ্চিম আফ্রিকান শাখা জামা’আত নুসরতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিনের (জেএনআইএম) বীর যোদ্ধারা বরকতময় এই হামলাটি চালিয়েছেন। তাঁরা এই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় রয়েছেন। এবং পুরো পশ্চিম আফ্রিকা নিয়ে বৃহত্তর একটি ইসলামি ইমারাত প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

আর তাদের এই ছোট-বড় হামলা ও অভিযানসমূহই পশ্চিম আফ্রিকা অঞ্চলে ভবিষ্যৎ ইসলামিক ইমারত বিনির্মাণের দৃঢ় ভিত্তি প্রস্তুত করে দিচ্ছে বলে মনে করেন ইসলামি চিন্তাবীদগণ। তাঁরা এটাও মনে করেন যে, নির্মীয়মাণ ঐ ইমারত থেকে মুসলিম উম্মাহ অনেক বেশি উপকৃত হবে। পাশাপাশি, এই পশ্চিম আফ্রিকা অঞ্চলের নানান সম্পদে সমৃদ্ধ হওয়ার বিষয়টিও মনে করে দিয়েছেন বিশ্লেষকরা, ইতিমধ্যে যার নিয়ন্ত্রণ ফ্রান্স এবং অন্যান্য দখলদার শক্তির হাট থেকে উম্মাহর বীর সন্তান মুজাহিদদের হাতে আসার পথ প্রসস্থ হতে শুরু করেছে বলে মত তাদের।