জাতিসংঘের কথিত নিরাপত্তা পরিষদের সাম্প্রতিক একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান সরকার। যাতে নারীদের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। আফগানিস্তানে নারী অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে জাতিসংঘের এসব উদ্বেগকে ভিত্তিহীন এবং অবাস্তব বলে অভিহিত করেছে ইমারাতে ইসলামিয়া।
ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ (শুক্রবার, ২৭ মে) জাতিসংঘের কথিত নিরাপত্তা পরিষদের মনগড়া অভিযোগের বিরুদ্ধে একটি যৌথ বিবৃতিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এই বিবৃতিতে সংস্থাটির দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে আফগান সরকার।
জাতিসংঘের কথিত নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা গত মঙ্গলবার যৌথ এক বিবৃতিতে, শিক্ষা, সরকারি কাজ এবং ভ্রমণে নারী ও মেয়েদের প্রবেশাধিকার সীমিত করায় ইমারাতে ইসলামিয়ার সমালোচনা করেছে। সেই সাথে উক্ত বিবৃতিতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এসব বিষয়ে নতুন করে আইন প্রণয়নের জন্য ইমারাতে ইসলামিয়াকে আহ্বান জানিয়েছে। যেখানে জাতিসংঘ দাবি করেছে যে, তালিবান সরকার নারীদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা সীমিত করেছে।
এ বিষয়ে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “আফগানিস্তানের জনগণের উপর ইসলামি সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের বিপরীত কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া হয়নি।”
বিবৃতিতে ইমারাতে ইসলামিয়া জোর দিয়ে বলেছে যে, বিশ্বের দেশগুলোকে আফগানিস্তানের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে সম্মান করতে হবে। এতে কারো নাক গলানো উচিত হবে না। কারণ এখানের ৯৯% মানুষই পূর্ব থেকে এসব ধর্মীয় নীতি মেনে চলতে অভ্যস্ত। কোন প্রকার বাধ্যবাধকতা ছাড়াই তারা মনে প্রাণে ধর্মীয় নীতিগুলো মেনে চলেন।
ইমারাতে ইসলামিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছেন যে, কিছু নির্দিষ্ট মহলের পরিচালিত মিডিয়া এবং ইমারাতে ইসলামিয়া বিরোধী প্রচারণার পক্ষপাতদুষ্ট ও ধ্বংসাত্মক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জাতিসংঘের বিচার করা উচিত নয়।
বিবৃতিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ব্যাংকিং ও আর্থিক ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত করার এবং আফগান জনগণকে মানবিক সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানো হয়েছে। এতে ইমারাতে ইসলামিয়া আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, আফগানিস্তানের সম্পদ নিঃশর্তভাবে ছেড়ে দিতে এবং সকল অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে।
جزاكم الله خيرا
এভাবেই বাতিলকে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে আর আঘাতের পর পাল্টা আঘাত করা হবে ইনশাআল্লাহ