কর্ণাটক থেকে হিজাব বিতর্ক শুরু হলেও ধীরে ধীরে ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে মুসলিম মহিলাদের প্রতি হিন্দুত্ববাদীদের বৈষম্যের বহু ঘটনা সামনে এসেছে। এবার হিজাবের কারণে হিন্দুদের বৈষম্যের শিকার হয়েছেন বিহারের বেশ কয়েকজন মুসলিম ছাত্রী।
বিহারের মুজাফফরপুর এলাকায় পরীক্ষা দিতে আসা হিজাব পরিহিত শিক্ষার্থীদের হয়রানি করেছে এক উগ্র হিন্দু শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে মহন্ত দর্শন দাস মহিলা কলেজে।
এক ছাত্রী জানান, কলেজের সেন্ট আপ পরীক্ষার সময় এক হিন্দু শিক্ষক মুসলিম মেয়েদের হিজাব খুলে ফেলতে বলে। মুসলিম মেয়েরা তাকে বলেন, আপনি মহিলা গার্ডকে ডেকে পরীক্ষা করুন। কোনো আপত্তিকর জিনিস বের হলে শাস্তি দিবেন।
ছাত্রীদের অভিযোগ, মহিলা গার্ড ছাত্রীদের চেক করার সময় শিক্ষক শশী ভূষণ ছাত্রীদের দেশবিরোধী বলে অভিহিত করেছে। উপস্থিত অন্যান্য হিন্দু শিক্ষকরাও মুসলিম ছাত্রীদের ব্যাঙ্গ করেছে। তারা বলেছে, “তোমরা এখানে (ভারতে) থাকো আর ঐখানের (পাকিস্তানের) গান করো। তাহলে পাকিস্তানে চলে যাও।”
অমুসলিমরা ব্যক্তি স্বাধীনতার নামে যা ইচ্ছে তাই করতে পারে, পক্ষান্তরে মুসলিম নারীরা আল্লাহর দেয়া বিধান পর্দা পালনের জন্য শালীন-পোষাক হিজাব পড়লেই তাদের বিদ্বেষ ফুটে উঠে।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে ইসলামের বিরুদ্ধে হিন্দুত্ববাদীদের বিদ্বেষ চরমে পৌঁছেছে। গত মার্চ মাসে ভারতের কর্ণাটক আদালত রায় দিয়েছে যে, হিজাব ইসলামের অবশ্য পালনীয় কোন বিধান নয়।
এদিকে গত সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডে বুরকা নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ হিসেবে দেশটির সরকার মুখ ঢাকা পোশাক পরিধান করলে প্রায় এক লাখ টাকা জরিমানা করার প্রস্তাব করেছে।
সার্বিক দৃষ্টিতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, পুরো বিশ্বই আজ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছে।
তথ্যসূত্র:
——-
1. मुजफ्फरपुर MDDM कॉलेज में हिजाब हटाने के लिए छात्राओं को किया मजबूर, टीचर ने कहा-चले जाओ पाकिस्तान
– https://tinyurl.com/bddcnbbs