ক্রুসেডার ফ্রান্সে মুসলিম নিপীড়নের নয়া হাতিয়ার: টয়লেটে পানি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

ইউসুফ আল-হাসান

0
856

ইউরোপের তথাকথিত সভ্য রাষ্ট্র ফ্রান্সে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ইসলাম বিদ্বেষ কোন নতুন ঘটনা নয়। কিছু দিন আগেই বিশ্ব নবী মুহাম্মাদ ﷺ কে কটুক্তি করে পুরো বিশ্বে সমালোচনার পাত্র হয়েছিল দেশটি। এবার ফ্রান্সের মুসলিমদের নিপীড়নে নতুন হাতিয়ার বেছে নিয়েছে এক ফরাসি কোম্পানি। টয়লেট করার পর নিজেকে পরিষ্কার করার কাজে পানি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ঐ ইসলাম বিদ্বেষী কোম্পানি।

জানা যায়, সম্প্রতি ঐ কোম্পানিটি একটি নোটিশ জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, “সকল টয়লেট ব্যবহারকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ফ্রান্সে স্বাভাবিক রীতি হলো মলত্যাগের পর টয়লেট পেপার দিয়ে মুছে ফেলা এবং তারপর সাবান দিয়ে হাত ধৌত করা।

“নিজেকে পরিষ্কার করার জন্য পানি ও হাত ব্যবহার করা স্বাস্থ্যবিধির বিপরীত। তাই কোম্পানির যেসব কর্মীরা প্লাস্টিকের বোতল বা পানি ভর্তি পাত্র নিয়ে টয়লেটে প্রবেশ করবে তাদেরকে খুব কঠোর শাস্তি পেতে হবে।”

উল্লেখ্য, পশ্চিমা ও ইউরোপীয় দেশগুলোর ওয়াশরুমগুলিতে সাধারণত টয়লেটে পানির ব্যবস্থা থাকে না। তাই মুসলিমরা টয়লেট ব্যবহার করার জন্য বোতল বা অন্য কোন পাত্রে করে পানি নিয়ে যায়। কিন্তু ধর্মীয় স্বাধীনতার ধ্বজাধারীরা এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে মূলত মুসলিমদেরকে শারীরিক ও আত্মিক উভয় ভাবেই নাপাক করতে চায়।

ফ্রান্স নামটি শুনলেই ভেসে উঠে ইসলাম বিদ্বেষী ও আফ্রিকার মুসলিমদের রক্তে রঞ্জিত বর্বর জাতির প্রতিচ্ছবি। প্রিয় নবি ﷺ এর অবমাননা করা, পর্দা বিষয়ক ইসলামের পবিত্র ফরজ বিধানে নিষেধাজ্ঞা, মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়া, মাদ্রাসার পাঠ্যসূচী পরিবর্তন করা – এগুলো ফ্রান্সে সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামরিক সকল ক্ষেত্রে ইসলাম বিদ্বেষী ফ্রান্সকে উপযুক্ত জবাব দেয়া সকল মুসলিমের ঈমানী ও নৈতিক দায়িত্ব। শান্তির ধর্ম মানে ইসলাম নতজানু ধর্ম নয়, বরং ন্যায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই ইসলাম শান্তির ধর্ম।

তথ্যসূত্র:

——

  1. French company to punish employees who use water after defecation – https://tinyurl.com/y4bfw3m8 

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধআফগানিস্তানঃ বিদেশী বিনিয়োগ ছাড়াই খনি মন্ত্রণালয়ে রেকর্ড রাজস্ব
পরবর্তী নিবন্ধধর্মীয় স্বাধীনতা যেখানে কাঁটাতারের বেড়ায় বন্দী