ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে বিনা কারণে পুলিশের হাতে হেনস্তার শিকার হয়েছেন শিরুর এলাকার একজন স্থানীয় ইসলামিক স্কলার। জানা যায়, স্থানীয় একটি সরকারি স্কুলের ইসলামিক স্টাডিজের শিক্ষক মাওলানা আব্দুল আলিম নদভিকে গত ২ জুন কোন কারণ ছাড়াই পুলিশ হেনস্তা করে।
মাওলানা আব্দুল আলিম নদভী মাকতুব মিডিয়াকে বলেছেন, “তারা আমার ইসলামিক পোশাক সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করে আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করতে শুরু করে। এমনকি, তারা আমাকে হুমকি দিয়েছে এবং ভয় দেখিয়েছে যে, আমি যদি তাদের ব্যাপারে একটি শব্দও উচ্চারণ করার সাহস করি তবে আমাকে গ্রেপ্তার করা হবে এবং কঠোর নির্যাতন করা হবে।”
স্থানীয় সূত্রমতে, রাস্তার পাশে হট্টগোল এবং অনেক লোকের জটলা দেখে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানার জন্য মাওলানা সাহেব লোকজনকে কিছু প্রশ্ন করেন। হঠাতই পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে মাওলানা সাহেবকে হেনস্তা করা শুরু করে।
মাওলানা সাহেব বলেন, “যখন আমি ঘটনাস্থলে গেলাম, এত লোকজন আর হট্টগোল দেখে আমার মনে অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল।”
“সাব ইন্সপেক্টর নিরঞ্জন গৌড়া এবং বাইন্দুর থেকে পুলিশ কনস্টেবলসহ পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তারা মূল ঘটনার বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না নিয়ে কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে শারীরিকভাবে আঘাত করে এবং মৌখিকভাবে গালিগালাজ করতে শুরু করে।”
পুলিশের এমন অন্যায় আচরণ উপস্থিত অনেক ব্যক্তিকে ক্ষুব্ধ করে। তারা শিরুর জিমের কাছে জমা হয়ে মাওলানা আব্দুল আলিম নদভীকে হেনস্তার বিচারের দাবি জানায়।
পুলিশ তাদের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে অস্বীকৃতি জানালে, বিক্ষুব্ধ জনগণ ঐ ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে।
স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের এমন কর্মকাণ্ডের পূর্ণ তদন্ত করার এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
হট্টগোল সম্পর্কে জানা যায় যে, একজন হিন্দু ছেলে ও একজন মুসলিম মেয়ে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে স্থানীয়দের হাতে আটক হয়। ধারণা করা হচ্ছে, যেহেতু একটি হিন্দু ছেলে মুসলিম মেয়েকে নিয়ে পালাচ্ছিল, তাই ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতেই পুলিশ মাওলানা সাহেবকে হেনস্তা করেছে।
তথ্যসূত্র:
——
1. Karnataka: Police accused of manhandling local Muslim scholar (Maktoob)
–https://tinyurl.com/2s4ymba9