বেশ কয়েকমাস ধরেই ইউরোপের দেশ সুইডেন ও ডেনমার্কে দফায় দফায় পবিত্র কুরআন শরীফ পুড়ানো হচ্ছে। এই যেন রীতিমতো প্রতিযোগীর অংশে পরিণত হয়েছে। এ কাজকে তারা বাক স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা বলে আখ্যা দিয়ে রাষ্ট্রীভাবে কুরআন অবমাননার অনুমতি দিচ্ছে। শুধু অনুমতিই নয়, কুরআনে আগুন দেয়ার সময় দেয়া হচ্ছে পুলিশি নিরাপত্তা।
দেশ দুটিতে গত এক সপ্তাহে ফের একাধিকবার এ ঘটনা ঘটেছে।
ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগে প্রথমে ইরাকি দূতাবাসের সামনে এবং পরে মিশর ও তুরস্কের দূতাবাসের সামনে কুরআন শরীফে আগুন দেয় দুই যুবক। তারা নিজেদেরকে ড্যানিশ প্যাট্রিয়টস নামের একটি উগ্রবাদী খ্রিস্টান সংগঠনের সদস্য বলে পরিচয় দেয়। এ সময় খ্রিস্টান যুবকদেরকে পবিত্র কুরআনকে ফুটবলের মতো লাথি মারতে দেখা যায়। ঘটনাটি তারা নিজেরাই ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করেছে।
পৃথিবীতে এতো কাজ থাকতে তারা পবিত্র কুরআন পুড়ানোকেই তাদের বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার মানদণ্ডে পরিণত করলো কেন, এই প্রশ্নের কোন সদুত্তর নেই। তাছাড়া এ কাজ তারা তাদের বাড়িঘর বা প্রতিষ্ঠানে করছে না, বরং মুসলিমপ্রধান রাষ্ট্র মিশর, ইরাক ও তুর্কিয়ের দূতাবাসের সামনে ঘটিয়েছে।
যদিও তারা আল্লাহ তা’য়ালা, রাসূল(ﷺ) ও ইসলামকে অবমাননা করা এবং কুরআনের মতো পবিত্র কালাম পুড়িয়ে মুসলিমদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত করাকে বাকস্বাধীনতা বলছে; কিন্তু তারাই আবার সমকামিদের প্রতি কোন বিদ্বেষমূলক কথা বা কাজকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে আইনভুক্ত করছে। এটি তাই ইউরোপীয়দের যুগ যুগ ধরে লালিত ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ব্যতীত আর কি হতে পারে।
তথ্যসূত্র:
——
1.এবার ডেনমার্কে তুর্কি ও মিসরীয় দূতাবাসের সামনে পোড়ানো হলো কোরআন
– https://tinyurl.com/bdfbehzs