• সন্ত্রাসী ইসরায়েল এবার আল-মাগাজি শরণার্থী শিবিরে ভয়ানক হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের বর্বরোচিত এই হামলায় প্রাথমিকভাবে অন্তত ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
• লোহিত সাগরে হুথিদের আক্রমণ থেকে ইসরায়েলি জাহাজকে বাঁচাতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে একটি জোট গঠন করা হয়েছিল। স্পেন ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা এই জোটে যোগ দেবে না।
• গাজার সরকারি মিডিয়া কার্যালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত শতাধিক সাংবাদিককে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েল। নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা এখন ১০৩ জন।
• গত ২৪ ঘণ্টায় সন্ত্রাসী ইসরায়েল অন্তত ১৬৬ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, আহত করেছে আরও ৩৮৪ জনকে।
• আল-জাজিরার তথ্যমতে, গাজা ও পশ্চিম তীরে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২০৭২৭ জন ফিলিস্তিনি। নিহতদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।
• সন্ত্রাসী ইসরায়েল উত্তর গাজার জাবালিয়া এলাকার একটি টানেল থেকে ৫ ইসরায়েলি বন্দীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে জায়োনিস্ট বাহিনী।
• ইসরায়েলি বাহিনীর মুখপাত্র বলেছে, ইসরায়েল `জটিল’ যুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছে! সে বলেছে, হামাসকে নির্মূল করতে হলে নিজেদের সেনাও হারাতে হবে!
• আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদাহ বলেছেন, গত ৪ দিনে অন্তত ৪৮ জায়োনিস্ট সেনাকে হত্যা করেছেন আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুজাহিদগণ।
• ২৪শে ডিসেম্বর আল-কাসসাম ব্রিগেডের চালানো কয়েকটি আক্রমণ:
– জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের আল-কাসাইব এলাকায় ইয়াসিন-১০৫ দিয়ে ইসরায়েলি মারকাভা ট্যাংকে হামলা।
– উত্তর গাজার জাবালিয়া আল বালাদ এলাকার উপকণ্ঠে সন্ত্রাসী ইসরায়েলের ২টি মারকাভা ট্যাংকে ইয়াসিন-১০৫ দিয়ে হামলা।
– মধ্য গাজার জুহর আল-দিক এলাকায় প্রবেশ করা একদল জায়োনিস্ট সৈন্যকে অ্যান্টি পার্সনেল বিস্ফোরক ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছেন মুজাহিদগণ। এতে দখলদার বাহিনীর ৬ সৈন্য নিহত হয়েছে এবং বাকিরা আহত হয়েছে।
– জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের আল-কাসাইব এলাকায় ৩ জায়োনিস্ট সৈন্যকে স্নাইপার হামলার শিকার বানানো। এদের মধ্যে একজন ছিল মেজর।
– মধ্য গাজার জুহর আল-দিকে একটি ভবনের ভেতরে ছিল ১০ সদস্যের জায়োনিস্ট স্পেশাল বাহিনী। মুজাহিদগণ তাদের উপর টিবিজি গোলা ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছেন। এতে শত্রুবাহিনীর মাঝে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
• ২৪শে ডিসেম্বর ইসরায়েলি বাহিনীর উপর কুদস ব্রিগেডের চালানো কয়েকটি আক্রমণ:
– রকেট ও মর্টার শেল দিয়ে খান ইউনিসে শত্রুশিবিরে হামলা।
– জাবালিয়া আল-বালাদ এলাকায় আল-নুজহা স্ট্রিটে তানডেম গোলা ব্যবহার করে মারকাভা ট্যাংকে হামলা।
– আল-জায়তুন বসতিতে দখলদার বাহিনীর একদল সেনার উপর হ্যাভি-ক্যালিবার মর্টার শেল ব্যবহার করে হামলা।
– সুফা এলাকায় শত্রুসেনাদের উপর মর্টার শেল দিয়ে হামলা।
– গাজা শহরের পূর্বে আল-জায়তুন ও শুজাইয়া এলাকায় দুটি আরপিজি শেল এবং একটি গেরিলা অ্যাকশন ডিভাইস ব্যবহার করে ৩টি জায়োনিস্ট সামরিক যানে হামলা।
– খান ইউনিসের ইসলামি কমপ্লেক্সের আশপাশে থাকা দখলদার বাহিনীর ঘাঁটিতে হ্যাভি-ক্যালিবার মর্টার শেল দিয়ে হামলা।