পশ্চিম আফ্রিকার একাধিক দেশে ইসলামি শরিয়াহ্ ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে দাওয়াহ ও জিহাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বৈশ্বিক ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদা। সেই ধারাবাহিকতায় দলটির পশ্চিম আফ্রিকান শাখা “জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন” (জেএনআইএম) মুজাহিদগণ গত এপ্রিল মাসে মালিতে কয়েক ডজন সামরিক অপারেশন পরিচালনা করেছেন।
দলটির অফিসিয়াল মিডিয়া শাখা আয-যাল্লাকা গত এক মাসে মালিতে শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে ২টি পাল্টা আক্রমণ, ৪টি অ্যাম্বুশ ও ৫টি অতর্কিত আক্রমণ সহ মোট ২১টি পৃথক অপারেশনের তথ্য নথিভুক্ত করেছে। এতে মালির জান্তা বাহিনীর পাশাপাশি রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীর বিরুদ্ধে পরিচালিত ৫টি অপারেশনের তথ্যও যুক্ত রয়েছে। মুজাহিদদের এসকল অ্যাম্বুশ আর অতর্কিত আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিল জান্তা বাহিনীর ৩টি ঘাঁটি ও ৪টি সামরিক কনভয়। আর মুজাহিদদের এসকল অভিযানের ফলে ২টি এলাকা, ১টি সামরিক ঘাঁটি ও ৩টি সেনা চৌকি ছেড়ে পালিয়েছে শত্রু বাহিনী।
এছাড়াও মুজাহিদদের মিসাইল ও রকেট হামলার কবলে পড়েছিল বেশ কিছু শত্রু সেনা ঘাঁটি ও ২টি বিমানবন্দর। এতে জান্তা বাহিনী ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়। এদিকে মুজাহিদদের বিভিন্ন বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরণে ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জান্তা এবং ওয়াগনার বাহিনীর ৯টি সামরিক গাড়ি সহ এক ডজনেরও বেশি মোটরসাইকেল। ফলে হতাহতও হয়েছে অসংখ্য সৈন্য।
আয-যাল্লাকার তথ্য অনুযায়ী, মুজাহিদগণ এই অভিযানগুলো মালির ৬টি অঞ্চলে পরিচালনা করছেন। অভিযানগুলো দেশটির কৌলিকোর রাজ্যে ৫টি, মোপ্তি রাজ্যে ৪টি, সেগু রাজ্যে ৪টি, জিবোতে ৩টি, টিম্বুকটোতে ৩টি এবং রাজধানী বামাকোতে ২টি করো চালানো হয়েছে।
মুজাহিদগণ এসকল অভিযানের মধ্যে ২টিতে জান্তা বাহিনীর এক কমান্ডারকে আটক এবং বেসামরিক নাগরিকদের হত্যায় জড়িত অন্য এক শীর্ষ অপরাধীকে হত্যা করতে সক্ষম হন। এছাড়াও ‘জেএনআইএম’ নিশ্চিত করেছে যে, মুজাহিদদের অন্যান্য অভিযানগুলোতেও অসংখ্য জান্তা এবং ওয়াগনার সৈন্য হতাহত হয়েছে। তবে হতাহতের এই সংখ্যাটা কত তা সুনির্দিষ্ট করেনি ‘জেএনআইএম’। শুধু গত ২৭ এপ্রিল সেগু রাজ্যে শত্রুর একটি পদাতিক দলে মুজাহিদদের হামলায় ১০ সেনা হতাহত হওয়ার সুনির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ করেন মুজাহিদগণ।