১১ মে, শনিবার মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরের আবাসিক ভবনগুলিতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিশু ও মহিলাসহ কমপক্ষে ১৯ জন বেসামরিক লোক নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায় যে, উদ্ধারকর্মী ও নাগরিক প্রতিরক্ষা দল দেইর আল-বালাহ শরণার্থী শিবিরে আল-লৌহ পরিবারের বাড়িতে ইসরায়েলি বোমা হামলার পর এক তরুণী সহ নয়জনের মৃতদেহ এবং বেশ কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছেন।
সূত্র আরও জানায় যে, বিমান হামলার ফলে বাড়িটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং পার্শবর্তী বাড়িঘরগুলোও ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
একই সাথে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান গাজা শহরের সাবরা পাড়ায় আশ্রম পরিবারের একটি বাড়িতে বোমাবর্ষণ করেছে, যার ফলে কমপক্ষে ১০ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
গাজার চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গত ২৪ ঘন্টায় গাজা উপত্যকায় চারটি গণহত্যা চালিয়েছে, যার ফলে কমপক্ষে ২৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৬৯ জন আহত হয়েছে ।
গাজার মেডিকেল সূত্র অনুসারে ইসরায়েলি অ্যাপাচি হেলিকপ্টার থেকে তীব্র গুলিবর্ষণের ফলে দক্ষিণ-পূর্ব গাজা শহরের আল-জায়তুন পাড়ায় দুই ব্যক্তি নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছে। হতাহতদের গাজা শহরের আল-আহলি ব্যাপ্রিস্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলি বিমান আল-জায়তুনের আশেপাশে হাসান আল-বান্না মসজিদের কাছে আবাসিক বাড়িগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যার ফলে একজন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়।
তদুপরি, মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর ডাক্তার মোহাম্মদ নেমের কাজাত নামের একজন মেডিক্যাল ডাক্তার এবং তার ছেলে ডাঃ ইউসুফ এর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ডাঃ ইউসুফও একজন মেডিকেল ডাক্তারের ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থা্নীয়রা।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, ৭ অক্টোবর থেকে শুরু করে গত ১১ মে শনিবার পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৩৪,৯৭১ জন এবং মোট আহতের সংখ্যা ৭৮,৬৪১ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।