কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে সহিংসতায় সফুর আলম (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ভোটগ্রহণ চলাকালে সহিংসতার এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সফুর আলম পশ্চিম পোকখালীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মালমুরাপাড়ার মৃত নমিউদ্দিনের ছেলে।
সংবাদমাধ্যম মানবজমিন জানিয়েছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে থাকে। এর মধ্যে পশ্চিম পোকখালী মালমুরাপাড়া এলাকার কেন্দ্রে সহিংসতা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, স্থানীয় মৌলভী মুহাম্মদ আলম নামের একজনের নেতৃত্বে সফুর আলমের বাড়িতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যা করা হয়।
উল্লেখ্য, গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রতিটি নির্বাচনের আগে-পরে সহিংসতায় বহু মানুষ নিহত হন। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের পর দ্বিতীয় ধাপেও দেশব্যাপী সহিংসতায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার নিয়মানুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি পাঁচ বছর পর পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হয়ে থাকে। আর প্রতিবারই এসব নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে অশান্তি, বিশৃঙ্খলা এবং খুনোখুনির ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশের হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) তথ্যমতে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে ১১ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় ৮২ জন নিহত হয়েছে। আর চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত ৬৮৯টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছে ৪২ জন। আহত দুই হাজার ৩২৮ জন।
তথ্যসূত্র:
১. কক্সবাজারে নির্বাচনী সহিংসতায় যুবক খুন
– https://tinyurl.com/2c9dx33y
২. ৪ মাসে ৬৮৯ নির্বাচনী সহিংসতা, নিহত ৪২
– https://tinyurl.com/5n6r49ts
৩. ১১ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ৮২: এইচআরএসএস
– https://tinyurl.com/44w7ptbs