মুজাহিদিন কর্তৃক মালির কৌশলগত জেলা বিজয়, অবরুদ্ধ টিম্বুকটো শহর

আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম) যোদ্ধারা, পশ্চিম আফ্রিকার ৪টি দেশে বৃহৎ আকারের সামরিক অপারেশন চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি দলটির মুজাহিদিনরা মালির জান্তা বাহিনীকে হটিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর এবং কৌশলগত এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে, মালির রাজধানী বামাকোতে সামরিক বিমানবন্দরে একটি বড় ধরনের সামরিক অপারেশন পরিচালনা করেছেন ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদিনরা। এই অপারেশনের পর থেকে মুজাহিদিনরা মালির প্রধান শহরগুলিতে ধারাবাহিক ভাবে বড় ধরনের সামরিক অপারেশন অব্যাহত রেখেছেন।

মালি থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার, জেএনআইএম মুজাহিদিনরা কৌশলগতভাবে মালির গুরুত্বপূর্ণ শহর লেইরির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। একই সাথে মুজাহিদিনরা ঐতিহাসিক শহর টিম্বুকটোর উপর অবরোধ অব্যাহত রেখেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে, টিম্বুকটো শহরের বেশ কয়েকটি ঘাঁটি মুজাহিদদের অবরোধের মধ্যে রয়েছে। সম্প্রতি এসব ঘাঁটির আশপাশে শত্রু বাহিনীর দখলে থাকা একাধিক চেকপয়েন্টের নিয়ন্ত্রণও নিয়েছেন মুজাহিদিনরা। বর্তমানে মুজাহিদিনরা এসকল চেকপয়েন্ট ব্যবহার করে শত্রু ঘাঁটিতে সরবরাহ কনভয় ও শহরের যাওয়া পণ্য বহনকারী ট্রাকগুলিকে আটকে দিচ্ছেন।

একই সাথে, শত্রু বাহিনীকে পুনরায় সংগঠিত হতে বাধা দেওয়ার লক্ষ্যে মুজাহিদিনরা লিরি এবং নায়ান-ফোনি শহরের মধ্যে সংযোগকারী একটি সেতু ভেঙে ফেলেছেন।

সূত্রমতে, মুজাহিদিনরা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ টিম্বুকটো শহরের নিয়ন্ত্রণাধীন বেশিরভাগ জেলা এবং গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। এখন তাঁরা শহরের উপকণ্ঠে গাওয়া জেলার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।

মুজাহিদদের এই সফলতার পিছনে রয়েছে, উত্তর ও মধ্য মালির উপজাতিদের সমর্থন এবং মুজাহিদদের প্রতি তাদের আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি। এই সম্পর্কের মাধ্যমে মুজাহিদিনরা স্থানীয় গোষ্ঠীগুলির সাথে জোট গঠন করেন, যারা এখন মুজাহিদদের সহায়তায় জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।

অপরদিকে বিদেশী সহায়তার উপর নির্ভরশীল মালির জান্তা সরকার এখন নির্দিষ্ট কিছু কেন্দ্রীয় শহরে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।

তথ্যসূত্র:
1 | Jihaadiyiinta Nusratul Islaam Walmuslimiin oo la wareegay degmooyin istiraatiiji ah.

– https://tinyurl.com/34cn9pfy