শিল্প মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের আওতায় দেশের ১৫টি চিনিকলের সাথে মধুখালীতে অবস্থিত ফরিদপুর চিনিকলের শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তারা তিন মাসের বেতন-ভাতা না পাওয়ার কারণে আর্থিক সংকটে ভুগছে। আর সেই সাথে চলছে মানবেতর জীবনযাপন। অন্যদিকে মিলসগেট এলাকার আখচাষিদের আখের মূল্য বাবদ তাদের পাওনা রয়েছে চার কোটি টাকা।
আখচাষি ও শ্রমিকদের বেতন ভাতা ও অন্যান্য পাওনার দাবিতে আজ বুধবার সকাল ৯টায় মধুখালীতে অবস্থিত ফরিদপুর চিনিকলের প্রধান ফটকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কালের কন্ঠের রিপোর্ট
ফরিদপুর চিনিকলে আখচাষিদের আখের মূল্য বাবদ প্রায় চার কোটি এবং স্থায়ী ও মৌসুমি এবং দৈনিক ভিত্তিতে (ম্যান-ডে) মজুরি কমিশনের কর্মরতদের বেতন-ভাতা বাবদ প্রায় ৯ কোটি, অবসরপ্রাপ্তদের গ্র্যাচুইটি বাবদ প্রায় ১৮ কোটিসহ মোট ৩১ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।
এদিকে আখের মূল্য সময়মতো না পেয়ে আখচাষিরা আখের আবাদ করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এমনিতে আখ দীর্ঘমেয়াদি কৃষি ফসল। জমিতে দীর্ঘদিন রাখতে হয়। এর পর আখ মিলে সরবরাহ করে সময়মতো আখের মূল্য না পেয়ে আখচাষিদের আর ধৈর্যের সীমা থাকছে না। আর এ কারণে আখ চাষ ক্রমান্ময়ে হ্রাস পাচ্ছে।
ফরিদপুর চিনিকল শ্রমজীবী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কাজল বসু জানান, বেতন-ভাতা না পেয়ে আর্থিক সংকটের কারণে শ্রমিক-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন যাবৎ মানবেতর জীবনযাপন করছে। তিনি মানবিক আবেদন জানিয়ে বলেন, এই শিল্পের সাথে জড়িত শ্রমিক-কর্মচারীদের সকল বকেয়া বেতন-ভাতা, আখচাষিদের আখের মূল্য পরিশোধ ও অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের গ্র্যাচুইটি বাবদ পাওনা টাকা পরিশোধ এর বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।