‘মানবাধিকারের রক্ষকদের নিস্তব্ধ করার অপচেষ্টা করছে ভারত’

0
1281
‘মানবাধিকারের রক্ষকদের নিস্তব্ধ করার অপচেষ্টা করছে ভারত’

ভারতের অবৈধ দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীর অঞ্চলের মালাউন বাহিনীর ষাঁড়াশি অভিযানের মধ্যে মানবাধিকারের রক্ষকদের উপর দমন ও হামলা চালানো হচ্ছে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের থার্ড কমিটিতে সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূতের সাথে এক সংলাপে পাকিস্তানের প্রতিনিধি কাসিম আজিজ বাট বলেছেন যে, ভারতের প্রতিশোধমূলক হামলার মাত্রা ও তীব্রতা আরও বেড়ে গেছে।

বাট কমিটিকে বলেন, “জাতিসংসের ব্যবস্থার সাথে যারা সহযোগিতা করে, তাদেরকে হয়রানি আর দমন করে সার্বিকভাবে জাতিসংঘের কার্যকারিতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতাকে, এবং বিশেষ করে মানবাধিকারের রক্ষকদেরকে খাটো করা হচ্ছে”।

জাতিসংঘে পাকিস্তান মিশনের দ্বিতীয় সেক্রেটারি বাট বলেন, “হাজার হাজার কাশ্মীরী যুবক, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক ও আইনজীবীদের বাছবিচারহীনভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদেরকে নির্যাতন করা হয়েছে এবং তাদের এমন জায়গায় বন্দী রাখা হয়েছে, যেখানে তাদের সাথে যোগাযোগের সুযোগ রাখা হয়নি”।

গত মাসে আইনজীবী বাবর কাদরিকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যার বিষয়টি উল্লেখ করে বাট বলেন, কাদরি কাশ্মীরে মানবাধিকারের অন্যতম রক্ষক ছিলেন। কাশ্মীরে অজানা ব্যক্তিরা তাকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, ভারত সরকারের যে সব সমালোচকদেরকে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে, কাদরি তাদের অন্যতম।

মিথ্যা বয়ান

এদিকে, ইউএনজিএ’র ফোর্থ কমিটি – যেটি রাজনীতি ও উপনিবেশ মুক্তকরণ ইস্যু নিয়ে কাজ করে – সেই কমিটিতে পাকিস্তানের প্রতিনিধি বিলাল মাহমুদ চৌধুরি কাশ্মীরীদের ব্যাপারে ভারতের বয়ানকে প্রত্যাখ্যান করে। কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলনকারীদের ভারত সরকার সন্ত্রাসী হিসেবে উল্লেখ করে থাকে।

চৌধুরি বলেন, “কাশ্মীরে অবদমিত জনগণকে তাদের যে অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, সেটার কারণে দখলকৃত কাশ্মীরের ভেতর থেকেই প্রতিরোধ আন্দোলন সৃষ্টি হচ্ছে। ১৯৪৭ সাল থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতের যে ঔপনিবেশিক শাসন শুরু হয়েছে, সেটাকে টিকিয়ে রাখার জন্য নয়াদিল্লী বিভিন্ন অবৈধ দখলদারিত্বের কৌশল প্রয়োগ করে আসছে”।

ভারতীয় এক প্রতিনিধি এক বিবৃতিতে দাবি করেন যে, জম্মু ও কাশ্মীর ছিল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং তাদের স্ব-নিয়ন্ত্রণের নীতি দিয়ে একটি সদস্য দেশের ভৌগলিক অখণ্ডতাকে খাটো করা যাবে না। ভারতের প্রতিনিধির বিবৃতির প্রেক্ষিতে চৌধুরি ওই জবাব দেন।

জাতিসংঘে পাকিস্তান মিশনের কাউন্সিলর চৌধুরি উল্লেখ করেন যে, ভারত দখলকৃত কাশ্মীরে ভারতের শাসনের বিরুদ্ধে ‘ব্যাপক প্রতিরোধ’ হয়েছে। ‘কাশ্মীরের জনগণ এখনও দৃঢ়চেতা রয়েছে.. যদিও তাদের উপর গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, গুলি চালিয়ে অন্ধ করে দেয়া এবং গুম করার মতো বর্বরতা চালানো হচ্ছে”।
সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধশাম | নুসাইরী বাহিনীর উপর মুজাহিদদের একাধিক রকেট ও স্নাইপার হামলা
পরবর্তী নিবন্ধডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৮ লাখ টাকা ছিনতাই