চীনের শিনজিয়াংয়ে তুর্কি উইঘুর মুসলিমদের কোরআন শরীফ পাঠ, পর্দা পরা, হজ্বে যাওয়ার জন্য গ্রেপ্তার করত চীন। বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। খবর আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়েছে, আকসু দপ্তরের ২ হাজারের বেশি বন্দির ফাঁস হওয়া তালিকা পেয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। তলিকাটি তারা যাচাই-বাছাই করেছে। মুসলিমদের দমন করতে চীন প্রযুক্তির ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
মায়া ওয়াং নামে এক সিনিয়র চীনা এইচআরডব্লিউ গবেষক জানান, আকসুর তালিকা থেকে কিভাবে চীন শিনজিয়াংয়ে তুর্কি মুসলিমদের তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে দমন-নিপীড়ন চালায় তার ভয়ানক বর্ণনা পাওয়া গেছে।
এইচআরডব্লিউ উদাহরণস্বরূপ দুইটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছে। প্রথমটি ১৯৮০ সালে, একব্যক্তির কোরআন পাঠ এবং ২০০০ সালে স্ত্রীকে পর্দা পরতে দেওয়ায় চীন ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে। এর পর ২০১৩ সালে আকসুর বাইরে ভ্রমণ করায় এক নারীকে আটক করেছে চীন। ঐ নারী প্রথমে কাশগর এবং হতানে এক রাত কাটিয়েছিলেন। এছাড়া আকসুর তালিকা থেকে এইচআরডব্লিউ আরো জানায়, ভিপিএন ব্যবহার করে চ্যাট করার কারণেও ওই অঞ্চলে অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
জাতিসংঘের অনুমান, ১০ লাখের বেশি তুর্কি মুসলমান এদের মধ্যে বেশিরভাগ জাতিগত উইঘুর। পশ্চিম-পশ্চিম জিনজিয়াংয়ে তাদের বন্দি শিবিরে আটকে রাখা হয়েছে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন তাদের আটকের উদ্দেশ্য ছিল তুর্কি মুসলমানদের “জাতিগত এবং ধর্মীয় পরিচয় মুছে ফেলা” এবং চীন সরকারের প্রতি তাদের আনুগত্য নিশ্চিত করা।