যদি মার্কিনীরা দেশ ত্যাগ না করে, তবে আমরা অবশ্যই তাদের হত্যা করব- তালেবান

    1
    1105
    যদি মার্কিনীরা দেশ ত্যাগ না করে, তবে আমরা অবশ্যই তাদের হত্যা করব- তালেবান

    আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে এবং ইসলামি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আবশ্যক হচ্ছে, কাবুল সরকারের পদত্যাগ এবং মার্কিন সৈন্যদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আফগান ছেড়ে যাওয়া। আর যদি এমনটা না করা হয়, তবে আমরা মার্কিনীদদের হত্যা করবো। ইনশাআল্লাহ..

    ইমারতে ইসলামিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ের উপপ্রধান ও আলোচনাকারী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য শের মোহাম্মদ আব্বাস স্টানেকজাই (হাফিজাহুল্লাহ্) গত শুক্রবার মস্কোয় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেছিলেন যে, আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে বর্তমানে একমাত্র বাধা আশরাফ গনির প্রশাসন, সে পদত্যাগ করলেই আফগানিস্তানে শান্তির প্রচেষ্টা শুরু হবে এবং তা সফলতার মুখ দেখবে।

    তিনি বলেন, “এখানে পরিপূর্ণ ইসলামিক ব্যবস্থা নিশ্চিত হওয়ার পরে এবং গনি পদত্যাগ করলে আফগানিস্তানে যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবে।” যতক্ষণ না দেশে ইসলামী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় ততক্ষণ আমরা অস্ত্র রাখব না।

    স্টানেকজাই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তাঁরা আফগানিস্তানে পবিত্র এই জিহাদ শুরু করেছেন দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে এবং একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে। আর এ দুটি লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আফগানিস্তানে জিহাদ অব্যাহত থাকবে।

    তিনি পেন্টাগনে এই দাবিও অস্বীকার করেছেন যে, আল-কায়েদা সদস্যরা এখনও আফগানিস্তানে রয়েছেন। তিনি বলেন, আল-কায়েদার কোনও সদস্যই বর্তমানে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় নাই।

    স্টানেকজাই পেন্টাগনের বক্তব্যকে রদ করে বলেছেন যে, “আমরা এই চুক্তিটি পুরোপুরি মেনে নিয়েছি। এখন আমেরিকানদের ও তাদের মিত্রদের উচিত এটি পরিপূর্ণরূপে মেনে চলা। আমাদের বাকী বন্দীদের দ্রুত মুক্তি দেওয়া এবং কালো তালিকাভুক্তি থেকে তালেবান উমারাদের নাম অপসারণ করা।

    এদিকে নতুন মার্কিন প্রশাসন তালেবানদের উপর একরকম চাপ দেওয়ার জন্য বলেছিল যে, বাইডেন প্রশাসন দোহায় স্বাক্ষরিত চুক্তিটি পূণরায় বিবেচনা করে দেখবে। এর মাধ্যমে মূলত আমেরিকানরা এবং কাবুল প্রশাসন আশা করছিল যে, তালিবান অবশ্যই প্রতিরোধ ত্যাগ করবে এবং বিনা দ্বিধায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে, অন্যথায় দোহার চুক্তিগুলি ক্ষুণ্ন করার অযুহাত দেখাবে।

    তবে তালেবান নেতাদের স্পষ্ট বক্তব্য তাদের স্বপ্নে জল ঢেলে দিয়েছে। তারা স্পষ্টই বলছিল যে, আমাদের জিহাদ দুটি লক্ষ্য অর্জনের জন্য শুরু হয়েছিল: প্রথম দখলদারিত্বের অবসান এবং আফগানিস্তানে পূর্ণাঙ্গ একটি ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। এই দুটি লক্ষ্য অর্জনের পথে যারাই বাধা হয়ে দাড়াবে আমরা তাদের বিরুদ্ধেই অস্ত্র ধরবো এবং আমাদের পবিত্র এই জিহাদ ততক্ষণ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

    শুক্রবার জারি করা বিবৃতিতে স্টানেকজাই মার্কিনীদের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন যে, এধরণের ভিত্তিহীন অভিযোগ ইতিপূর্বেও একাধিকবার করা হয়েছে। যার স্বপক্ষে তারা স্পষ্ট কোন প্রমাণ উপস্থিত করতে পারেনি। সুতরাং এখন সময় হয়েছে তালিবান বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার, তালিবান নেতাদের নাম কালো তালিকাভুক্তি থেকে অপসারণ করার। শান্তি আলোচনাকে সফল করতে অবশ্যই আমেরিকা তাঁর পুতুল আশরাফকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করতে হবে, যাতে চুক্তিতে বর্ণিত ইসলামী ব্যবস্থা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।

    তিনি বলেন, “আমেরিকানরা যদি আমাদের দেশ ত্যাগ না করে, তবে আমরা আমেরিকানদের অবশ্যই হত্যা করব। আর এজন্য সম্পূর্ণ দায়ি থাকবে আমেরিকা নিজেই”।

    ১টি মন্তব্য

    মন্তব্য করুন

    দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
    দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

    পূর্ববর্তী নিবন্ধমাসিক রিপোর্ট | কেবল কুন্দুজেই ৪৪৫ কাবুল সৈন্যের তালেবানে যোগদান
    পরবর্তী নিবন্ধবকেয়া বেতনের দাবিতে মিরপুরে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ