কথিত শাটডাউনে উপায়হীন সাধারণ মানুষ; বাড়ছে ভোগান্তি

2
949
কথিত শাটডাউনে উপায়হীন সাধারণ মানুষ; বাড়ছে ভোগান্তি

তামাশার কথিত লকডাউন/ শাটডাউনে বাংলাদেশের রাজধানীসহ সারা দেশে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষেরা চরম বিপদে পড়েছেন৷ কাজ নেই আবার কোনো সহায়তাও পচ্ছেন না৷ রিকশা চললেও যাত্রী না থাকায় চালকরা দিশেহারা, কাজহীন দিনমজুর ও নির্মাণ শ্রমিকরা।

দিন আনে দিন খায় এ মানুষদের সংখ্যা আমাদের দেশে বেশি, যাদের একদিন ইনকাম বন্ধ থাকলে পুরো পরিবারটিকেই না খেয়ে থাকতে হয়।
লকডাউনের আযাবে ঘরে ঘরে ক্ষুধার্ত মানুষের হাহাকার। দুধের বাচ্চার কান্নার রোনাজারি। মাসুম শিশুর আর্তনাদে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ।
এমন কোন ঘর নেই যে ঘরে খাবারের অভাব নেই। পরিবারের যারা কর্তা তারা না হয় ৩ বেলার জায়গায় একবেলা খেয়ে থাকতে পারে কিন্তু মাসুম বাচ্চারা না খেয়ে কয়দিন বাঁচবে তা কারো জানা নেই।
এভাবে চলতে থাকলে গরীব মানুষ আরো হতাশ হয়ে যাবে। বিনা খাদ্যে মারা যেতে হবে।
জনগন তো সরকারের কাছে ভিক্ষা চায়না। চায়না কোন অনুদান, যদিও অনুদানের টাকা আসে জনগনের কষ্টার্জিত ট্যাক্সের টাকা হতে। জনগন চায় শুধু কর্ম করে জীবিকা চালাতে। পেটপুরে ডালভাত খেতে। পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে। কিন্তু সরকার সেই কর্ম জোর করে ছিনতাই করে নিলো লকডাউন দিয়ে।
এই কোটি কোটি মানুষ মিলে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললে তার ভার বহন করতে পারবে??

কঠোর লকডাউনেও রবিবার বৃষ্টি থামার পর দুপরের দিকে মৎস্য ভবনের সড়কের পথে ফুটপাথে একটি কাঠের বাক্সের ওপর চা, বিস্কুটসহ আরো কিছু পণ্য সাজিয়ে বসেন লাবনী বেগম৷ কথা বলতে গেলে ইতস্তত বোধ করেন৷ যেন কিছুটা ভয় পেয়েছেন৷

সব কিছু গুটিয়ে চলে যেতে চান৷ পরে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে গেলে আশ্বস্ত হন৷ সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, লকডাউনে তো এরকম রাস্তার পাশে দোকান দেয়া যাবে না৷ বাইরে বের হওয়া নিষেধ৷ কেন বের হয়েছেন? জবাবে জানালেন, ‘‘আমার একটি ছেলে আছে৷ স্বামী নেই৷ ছেলেটি কিডনি রোগে আক্রান্ত৷ প্রতিদিন সাড়ে ছয়শো টাকার ওষুধ লাগে৷ এই টাকা জোগাড় করতে না পারলে আমার ছেলেকে বাঁচাতে পারব না৷ দোকান দেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই আমার৷ আমি কী করব!’’

 

2 মন্তব্যসমূহ

  1. এই তাগুত মুরতাদ হাসিনা জনগণের পেটে লাথি মেরে জনগণকে বিশেষ করে মুসলিমদেরকে আর্থিকভাবে সংকটে ফেলার পায়তারা করছে এবং হিন্দুত্ববাদী ভারতের পা চাটা গোলাম বানানোর পাঁয়তারা করছে এবং তাদের মুখাপেক্ষী বানানোর চেষ্টা করছে যারা তাদের মুখাপেক্ষী হবে তাদের সহায়তা গ্রহণ করবে তাদের দখলদারিত্ব কে মেনে নেবে তাদেরকে কেবল নিরাপত্তা দিবে আর যারা হিন্দুত্ববাদী ভারতের আনুগত্য করবে না বরংচ বিরোধিতা করবে তাদেরকে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দেবে কিন্তু ইনশাআল্লাহ পরিশেষে মুসলিমরা হিন্দুদের উপর বিজয়ী হবে এবং শাসকগোষ্ঠীর গলায় দড়ি পরিয়ে সামের হেডকোয়ার্টারের টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যাবে সেই বিজয় অতি সন্নিকটে সেজন্য জনগণকে রুখে দাঁড়াতে হবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবং হিন্দুত্ববাদী ভারতের দেশীয় এজেন্ট দের বিরুদ্ধে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে জাগ্রত হবার তৌফিক দান করুন

Leave a Reply to আবু দুজানা প্রতিউত্তর বাতিল করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করলো অভিশপ্ত ইসরায়েল
পরবর্তী নিবন্ধঅবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিল বাহরাইন