ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসাম রাজ্যে ‘হিন্দুদের তুলনায় দ্রুতহারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে মুসলিমদের’ এই অযুহাতে মুসলিমদের জন্মনিয়ন্ত্রণে সেনা নামানো হচ্ছে। আগেও মুসলিম সমাজের মানুষের জন্ম হার কমাতে চেষ্টা করেছে রাজ্যের হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপি সরকার।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবার আরও একধাপ এগিয়ে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় জন্ম নিয়ন্ত্রণে মানব সেনা নামানোর কথা বললেন। এতে পুরো দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ভারতীয় মূলস্রোতের মিডিয়াগুলোও সরব সম্ভাব্য এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে।
বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েও নিজের সিদ্ধান্তে অটল আসমের মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়ে দিয়েছে, মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাতে মানুষের মধ্যে সচেতনতার নামে ভয় দেখাতে নামানো হচ্ছে ‘মানব সেনা’। এক হাজার জনকে নিয়ে গঠিত এই ‘population Army’ ওই সমস্ত এলাকাতে গিয়ে জন্মনিরোধক বিলি করবে। তবে কারা এই ‘মানব সেনা’র সদস্য হবে সে নিয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলেনি আসমের মুখ্যমন্ত্রী।
আসাম বিধানসভায় সোমবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় সে বলেছে, ‘২০০১ থেকে ২০১১, এই সময়ে হিন্দু জনসংখ্যা বেড়েছে ১০%, কিন্তু এই সময়েই মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ২৯%। অল্প জনসংখ্যার কারণে এই রাজ্যে হিন্দুদের জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত হয়েছে। তাঁদের বাড়ির ছেলেমেয়েরা চিকিৎসক এবং ইঞ্জিনিয়ারও হচ্ছে।’ কিন্তু কিভাবে এই সিদ্ধান্তে এসেছে সেটা নিয়েও পরিষ্কার করে বলেলি।
বিধানসভাতেই তিনি জানিয়েছেন, নিম্ন আসমে, যেখানে মুসলিম জনসংখ্যা বেশি সেখানে সেখানে ১ হাজার যুবককে তাঁদের সচেতন করতে এবং জন্মনিরোধক বিলি করার জন্য নিয়োগ করা হচ্ছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে আশাকর্মীদের নিয়ে আলাদা একটি দল করার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, আসমে দুই সন্তান নীতি চালু করা হচ্ছে। যারা এই নীতি মানবে না তাঁদের কোনও রকম সরকারি সুযোগসুবিধা দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে ‘স্বেচ্ছা নির্বীজকরণ’ (voluntary sterilization) করার কথাও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানায় সরকার।
কিন্তু তার কাজকে বিজেপির হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত, সংখ্যালঘু বিরোধী ও মুসলিম বিদ্বেষী বলে প্রতিবাদ জানাচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক, মুসলিম ধর্মীয় ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
إِنَّ رَبَّكَ يَبۡسُطُ ٱلرِّزۡقَ لِمَن يَشَآءُ وَيَقۡدِرُۚ إِنَّهُۥ كَانَ بِعِبَادِهِۦ خَبِيرَۢا بَصِيرٗا
নিশ্চয়ই তোমার রব যার জন্য ইচ্ছে তাঁর রিযক বাড়িয়ে দেন এবং যার জন্য ইচ্ছে তা সীমিত করেন; নিশ্চয় তিনি তাঁর বান্দাদের সম্বন্ধে সম্যক পরিজ্ঞাত, সর্বদ্রষ্টা ।
-Surah Al-Isra’, Ayah 30
وَلَا تَقۡتُلُوٓاْ أَوۡلَٰدَكُمۡ خَشۡيَةَ إِمۡلَٰقٖۖ نَّحۡنُ نَرۡزُقُهُمۡ وَإِيَّاكُمۡۚ إِنَّ قَتۡلَهُمۡ كَانَ خِطۡـٔٗا كَبِيرٗا
আর তোমরা তোমাদের সন্তান্দেরকে দারিদ্র-ভয়ে হত্যা করো না। তাদেরকেও আমিই রিযক দেই এবং তোমাদেরকেও। নিশ্চয় তাদেরকে হত্যা করা মহাপাপ ।
-Surah Al-Isra’, Ayah 31
وَلَا تَقۡرَبُواْ ٱلزِّنَىٰٓۖ إِنَّهُۥ كَانَ فَٰحِشَةٗ وَسَآءَ سَبِيلٗا
আর যিনার ধারে-কাছেও যেও না, নিশ্চয় তা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ ।
-Surah Al-Isra’, Ayah 32
ভাইয়েরা আমার সরকারী চাকরি না হোক তাতে কি আল্লাহর আদেশ আগে নাকি চাকরী। আল্লাহ মুমিন্দের অভিবাবক।।
এর পর ও আমার দেশের আলেমদের মতে জিহাদ করা যাবেনা।
পরিনাম মারাত্বক ভয়াবহ হবে-ইংশাল্লাহ।