কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দীদের বেদম প্রহার ও অমানবিক নির্যাতন করে দখলদার ইসরাইল। উক্ত খবরটি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা আল-জাজিরা ২০১৯ সালে প্রকশ করেছিল।
এ ঘটনার পর কয়েকটি ফিলিস্তিনি মানবাধিকার সংস্থা ইসরাইলি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল। ইসরাইল সরাসরি এমন নির্যাতনের খবর নাকচ করে দিয়ে বলেছিল আল-জাজিরায় প্রচারিত খবরটি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা এ অযুহাতে ইসরাইল এ অভিযোগটি বাতিল করে দেয়।
ফলে সম্প্রতি আল-জাজিরার অনুসন্ধানমূলক টিম ‘দ্য হিডেন ইজ মোর ইমেনস’ এ ঘটনার সাথে জড়িত ইসরাইলের কারাগার ও নির্যাতনকারীদের ছবি প্রকাশ করেছে। অনুসন্ধানে কারাগারটির নাম, স্থান ও নির্যাতনকারী পুলিশদের পরিচয় প্রকাশ কর হয়।
রিপোর্টে বলা হয়, কারাগারটি দখলদার ইসরাইলের মরু অঞ্চলে অবস্থিত। এটির নাম নেগেভ কারাগার। এছাড়াও এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে আল-জাজিরা।
ভিডিওতে দেখা যায়, বন্দীদের শিকল দিয়ে বেদম মারধর করা হচ্চে। বন্দীদের পিটিয়ে পশুর মতো একটি স্থানে জড়ো করা হচ্ছে। এরপর তাদের দিকে কুকুর লেলিয়ে দেয়া হচ্ছে। ইসরাইলি পুলিশের এ বর্বর নির্যাতনে বেশ কয়েকজন বন্দী গুরুতর আহত হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজনের দাঁত পড়ে যায়। এছাড়াও কয়েকজন অজ্ঞান হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেয়া হয়। তবে জ্ঞান ফেরার পর চিকিৎসা না দিয়ে সাথে সাথেই পূনরায় তাদের কারাগারে নেয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে আল-জাজিরা জানায়, ঘটনার সময় উক্ত কক্ষটির মেঝে রক্তে ভেসে গিয়েছিল।
উল্লেখ যে, দখলদার ইসরাইলের পাশবিক নির্যাতনের খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচার হলেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ছিল নিরব। আর এ নিরবতাকে দখলদার রাষ্ট্রের প্রতি মৌন সম্মতি হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ঘটনা এটিই প্রতীয়মান হয় যে ফিলিস্তিনি-ইসরাইল সংঘাত ও ইসরাইলের বর্বর নির্যাতনের সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনোই এগিয়ে আসবে না।
এদিকে আবারও কয়েক ডজন উগ্র ইহুদি পুলিশি পাহারায় আল-আকসা মসজিদে অনুপ্রবেশ করেছে।
গতো মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) ইসরাইলি সেনাবাহিনীর নিরাপত্তায় তারা মসজিদে অনুপ্রবেশ করে। এ-সময় ইহুদিরা মুসলিমদের বিভিন্নভাবে উস্কানি দেয়।
সম্প্রতি আল-আকসায় ইহুদিদের অনুপ্রবেশ অনেক বেড়েগেছে। গতো অক্টোবর মাসেই অন্তত ৩০০০ হাজার ইহুদি আল-আকসা মসজিদে অনুপ্রবেশ করেছিল।
বারবার উগ্র ইহুদিদের আল-আকসায় অনুপ্রবেশকে আল-আকসা মসজিদ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা পশ্চিম তীরে ইহুদিদের অবৈধ বসতি নির্মাণের ঘোষণা দেয়ার বহুবছর আগ থেকেই দখলদার ইসরাইলি সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনিদের বাড়ি-ঘর ধ্বংস করতে শুরু করেছিল। যেমনটি তারা ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বহুবছর আগ থেকে পরিকল্পনা করে সফল হয়েছিল।
এ অবস্থায় ইসলামের প্রথম কেবলা আল-আকসা ও ফিলিস্তিনকে উদ্ধারে মুসলিম জাতিকে সুপরিকল্পিতভাবে এগোতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তথ্যসূত্র :
=======
১। Breaking| Al Jazeera investigation reveals identities of Israeli jailers involved in inhumane torture –
https://tinyurl.com/73yjt32w
২। Video link-
https://tinyurl.com/3f684t3a
৩। Israeli settlers break into Al-Aqsa Mosque in Jerusalem, provoke Palestinians-
https://tinyurl.com/7rernupd