কেনিয়ায় আল-কায়েদার বিজয় অভিযান: দুর্দান্ত এক বিজয়সহ ৪০ ক্রুসেডার নিহত

ত্বহা আলী আদানান

1
1316
কেনিয়ায় আল-কায়েদার বিজয় অভিযান: দুর্দান্ত এক বিজয়সহ ৪০ ক্রুসেডার নিহত

এবার কেনিয়ায় দেশটির ক্রুসেডার সৈন্যদের উপর প্রাণঘাতী হামলা ও একটি বীরত্বপূর্ণ বিজয় অভিযান চালিয়েছেন ইসলামিক প্রতিরোধ বাহিনীর যোদ্ধারা।

আঞ্চলিক সূত্র জানিয়েছে, গত ১৩/১২/২০২১ তারিখ সোমবার, পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ওয়াজির অঞ্চলের কেন্টন এলাকায় ক্রুসেডার বাহিনীকে লক্ষ্য করে একটি বীরত্বপূর্ণ আক্রমণ ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন মুজাহিদগণ।

শাহাদাহ্ নিউজের তথ্যমতে, কেন্টন এলাকায় অবস্থিত ক্রুসেডার কেনিয়ান বাহিনীর সদর দপ্তর টর্গেট করে এই সফল অভিযানটি শুরু করেছিলেন ভারী অস্ত্রে সজ্জিত ইসলামিক প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবের বীর মুজাহিদিন। আর হারাকাতুশ শাবাবের প্রতিরোধ যোদ্ধারা এলাকাটিতে ততক্ষণ পর্যন্ত অভিযান চালাতে থাকেন, যতক্ষণ না ক্রুসেডার সৈন্যরা কেন্টন গ্রাম ছেড়ে পালাতে শুরু এবং মুজাহিদগণ কেন্টন গ্রামের উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন।

এলাকাটি মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসার পর, কেন্টন গ্রাম থেকে মাত্র ১ কি.মি দূরের একটি এলাকায় অবস্থানরত কেনিয়ার অন্য একটি ক্রুসেডার বাহিনী ঐ পরাজিত বাহিনীকে সাহায্য করতে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু সাহায্য করতে আসা ইসলামের শত্রু এই খ্রিস্টান বাহিনীটি পথিমধ্যেই মুজাহিদদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়।

শত্রু সৈন্যদের বহরটি মাঝপথে এমন একটি স্থানে এসে জড়ো হয়েছিল, যেখানে হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিনরা আগেই শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস বসিয়ে রেখেছিলেন। সামরিক বহরটির সমস্ত সৈন্য যখনই নির্দিষ্ট স্থানে জড়ো হয়, তখনই ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা সফলতার সাথে বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটান। যার ফলশ্রুতিতে সামরিক বহরটির একটি সৈন্যও পালিয়ে যেতে বা বেঁচে থাকতে পারেনি।

হারাকাতুশ শাবাবের তথ্য অনুযায়ী, মহান রবের সাহায্যে মুজাহিদিন কর্তৃক পরিচালিত এই বিস্ফোরণে ৪০ ক্রুসেডার সৈন্য নিহত হয়েছে, সেই সাথে তাদের সাঁজোয়া যানগুলি ধ্বংস হয়ে গেছে।

সূত্রটি আরও যোগ করেছে যে, ক্রুসেডার বাহিনীর হেলিকপ্টার দুটি ব্যাচে নিহত সৈন্যদের মৃতদেহ পরিবহন করেছিল। প্রথমবার শুধু মৃত সৈন্যদের সম্পূর্ণ দেহ পরিবহন করেছিল, দ্বিতীয়বার যেসব সৈন্যদের মৃতদের ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল তাদের পরিবহন করেছিল।

পূর্ব আফ্রিকায় এভাবেই ইসলামের শত্রুদের অন্তিরে কাঁপন সৃষ্টি করে যাচ্ছে আশ-শাবাবের ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা, আর তারা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছেন আরও একটি সফল ইসলামি ইমারত প্রতিষ্ঠার দিকে।

১টি মন্তব্য

Leave a Reply to আবদুল্লাহ প্রতিউত্তর বাতিল করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধএবার প্রকাশ্যে হিন্দুদের তলোয়ার কেনার উসকানি দিলো উগ্র হিন্দু নেত্রী
পরবর্তী নিবন্ধমুসলিমদের মসজিদের জমি দখল হরিয়ানায় রাজ্য সরকারের, ফিরিয়ে দিতে অনিচ্ছুক