ভারতের উগ্রপন্থী এবং মুসলিম বিদ্বেষী সাবেক সেনা প্রধান ও চিফ অফ ডিফেন্স বিপিন রাওয়াতকে ‘যুদ্ধপরাধী’ বলায় নিজের স্কুল থেকেই চাকরী গেলো এক কাশ্মীরি মুসলিম নারীর। অথচ ঐ নারী নিজেই ছিলেন সেই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা।
নিজের প্রতিষ্ঠিত যে স্কুল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয় সেই স্কুল কর্তৃপক্ষই তাঁর এই কাজ এর সাথে স্কুলের কোনও সম্পৃক্ততা নেই বলে উল্লেখ করে। সাথে আরও জানায় যে, তাঁকে তাঁর পদবী থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই মুসলিম নারী একটি পোস্ট দিয়েছেন, যেখানে তিনি উগ্রপন্থী বিপিন রাওয়াতকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ হিসেবে আখ্যা দেন। এর পরপরই তার পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়। পোস্টটি কিছু উগ্রবাদী বিজেপি কর্মীদের চোখে পড়লে তারা সেই মুসলিম নারীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দাখিল করে এবং পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও পরে সেই নারীকে ভবিষ্যতে এমন কাজের পুনরাবৃত্তি না ঘটানোর শর্তে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিপিন রাওয়াত ছিলো চরম মুসলিম বিদ্বেষী যে কিনা কাশ্মীরি শিশুদেরকেও চীনের আদলে ডির্যাডিকালাইজেশন সেন্টারে পাঠানোর প্রস্তাব দেয়। এমনকি ২০১৭ সালে সে একজন মেজরকে পুরস্কৃত করে, যে কিনা একজন বেসামরিক নিরীহ মুসলিমকে মানবঢাল হিসেবে জিপে বেঁধে ৫ ঘন্টা ধরে কাশ্মীরের বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন করায়।
অথচ ১৯৪৯ সালের জেনেভা কনভেনশন এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বেসামরিক নাগরিকদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা যুদ্ধাপরাধের অন্তর্ভুক্ত।
অথচ এমন শত শত যুদ্ধাপরাধ করার পরেও বিপিনকে ভারতে ‘হিরো’ হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু উল্টো দিকে, তার এই অপরাধের নিন্দা জানানোর জন্যে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে একজন সাধারণ মুসলিম নারীকে।
তথ্যসূত্র:
—–
১। The Siasat Daily- J&K: Woman sacked from school she founded for comments on Rawat
https://tinyurl.com/ycyz89kf