শাকিলা, ১০ বছর বয়সী এই কাশ্মীরি শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় একটি বিনুনিযুক্ত কাপড় দিয়ে ডান চোখ বেঁধে। আমি ও আরেকজন মিলে শাকিলাকে কোনমতে একটি বেঞ্চে বসাই। শাকিলার ডাক্তার জনাব কালদ্রান কুলগাম কে শাকিলার ব্যপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন-
“সে প্রচন্ড ভাবে আঘাত পেয়েছে এবং তাঁর মাথার ডান দিকে গুরুতর ট্রমায় আক্রান্ত হয়েছে। একটি গুলি তাঁর চোখের মধ্যে ছোঁড়া হয়েছিলো। যার দরুন তাঁর চোখ সহ ফোরেন্টাল হাড়, মাথার খুলির একটি অংশ এবং পেশী এবং ত্বকের বেশিরভাগ অংশ ছিঁড়ে গিয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাঁকে বাঁচাতে আমার প্রায় ত্রিশটিরও বেশি ট্রান্সফিউশন দিতে হয়েছে।”
ভারতীয় বাহিনী যে তিনটি গ্রাম আক্রমণ করেছিলো, শাকিলাদেরটি ছিলো তার মধ্যে একটি। ভারতীয় বাহিনীর দাবি যে, স্বাধীনতাকামীদের আশ্রয় দিচ্ছে সেই গ্রামের মানুষরা। শাকিলা তখন আরও দুজন শিশুর সাথে রাস্তায় খেলা করছিলো। যাদের একজনের বয়স ছিলো পাঁচ বছর এবং অরেকজনের আট বছর। ঠিক সে সময় ভারতীয় বাহিনী গ্রামের প্রতিটি বাড়ী লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। প্রতিটি বেসামরিক মুসলিমদের উপর তারা গুলি চালাতে থাকে যারা মূলত চেষ্টা করছিলো সেই ধ্বংসলীলা থেকে নিজেদের বাঁচানোর।
শাকিলা তাঁর খেলার সাথীদের সাথে তাঁদের দিকে ধেয়ে আসা ভারতীয় বাহিনীর অজস্র গুলি থেকে নিজেদের বাঁচাতে একটি খালে ঝাঁপ দেয়। সেই ছোট্ট প্রাণ গুলি যতটুকু সম্ভব হয় পানির নিচে নিজেদের শ্বাস আটকিয়ে রাখে। শুধুমাত্র নিজেদের বাঁচানোর জন্য। কিন্তু পাঁচ বছর বয়সী শিশুটি আর নিজের শ্বাস আটকে রাখতে পারে নি। সে বাকিদেরও নিজের সাথে খাল থেকে ওপরে টেনে তোলে। ওপরে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে গুলি করে হত্যা করে ভারতীয় বাহিনী। এরপর গুলি করা হয় আট বছর বয়সী অপর শিশুটিকেও। নিজের খেলার সাথীদের এমন ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন দেহ পড়ে থাকতে দেখে শাকিলা ভয়ে চিৎকার করতে করতে সেই খাল থেকে উঠে পালিয়ে যায়।
“তারা আমাকে আমার হাত উপরে তুলতে বলে। আমি তাদের কথামতো তাই-ই করি। কিন্তু তারপরও তারা আমাকে গুলি করে। আমার শুধু এইটুক মনে আছে যে, আমি যখন তাদের দিকে এগোচ্ছিলাম তখন আমি খুব চিৎকার করছিলাম এবং অনেক কান্না করছিলাম। আমি দেখলাম তারা আমার দিকে গুলি ছুঁড়লো এবং এরপরে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম (অর্থাৎ সে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলো)।”
পরবর্তীতে এভাবেই নিজের উপর ঘটে যাওয়া হিন্দুত্ববাদী হায়েনাদের বর্বরোচিত আক্রমণের বর্ণনা দিচ্ছিল শাকিলা। সে নির্লিপ্তভাবে কথাগুলো বলে যায়, তবে তাঁর মাঝে কিছুটা অস্থিরতাও কাজ করছিল। কিন্তু মনে হচ্ছিল, সে যেন তার ও তার সাথীদের উপর ভারতীয় দখলদারদের এই আক্রমণকে মেনে নিয়েছিল। সে যেন বুঝে গিয়েছিলো যে এটাই তার ও তার মত অন্যান্য মুসলিম শিশুদের নিয়তি, হিংস্র হিন্দু দখলদার সেনারা তাদের সাথে এমন আচরণ-ই করবে।
এভবেই শাকিলা-মুবিনাদের গুলি করে আর ইরপরাধ কাশ্মীরিদের রক্ত প্রবাহিত করে কাশ্মীরে নিজের দখলদারিত্ব কায়েম রেখেছে হিন্দুত্ববাদী ভারত। এমনটাই তারা করেছিলো ১৯৪৭-এ, এমনটাই তার করেছে ১৯৮৯-৯১ সময়ে, আর এমনটাই তারা করে যাচ্ছে ২০১৬-১৭-১৯ এর পর থেকে।
মুসলিম বিশ্ব নির্লিপ্ত; হিন্দুত্ববাদী ভারত তো তাই দাবি করতেই পারে,- “কাশ্মীর আমাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ!!”
[উইলিয়াম ডব্লিউ বেকার এর “কাশ্মীর হ্যাপী ভ্যালী, ভ্যালী অফ ডেথ” থেকে গৃহীত।]
অনুবাদক : আবু উবায়দা
তাদের ঝড়া প্রতিটি রক্তের হিসাব কড়ায় গন্ডায় বুঝিয়ে দেওয়া হবে ইনশা’আল্লাহ।
Raw গরুর প্রস্রাব খাওয়া মালাউন শুনে রাখ!
আমাদের ভাইয়েরা তদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে জিহাদ শুরু করে দিয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। মালাউনের বাচ্চারা তদেরকে যেখানেই পাওয়া হবে সেখানেই মারা হবে , যে অবস্থায় পাওয়া যাবে সে অবস্থায় মারা হবে ইনশাআল্লাহ। তদের রক্ত দিয়ে ভারতবর্ষে আমরা ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবো ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহর কসম!
আমরা এর প্রতিশোধ নেবো।
প্রতিটি ফোঁটা রক্তের মূল্য তাদের দিতে হবে।
গাজওয়াতুল হিন্দের মুজাহিদরা জেগে উঠেছে
আল্লাহর কসম, নির্যাতিত মুসলিমদের প্রতিটি ফোঁটা রক্তের হিসাব নেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ যতক্ষণ পর্যন্ত না খিলাফাহ প্রতিষ্ঠিত হয়