ক্রুসেডার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমালিয়ায় মার্কিন স্পেশাল অপারেশন ফোর্সের শত শত সদস্যকে মোতায়েন করার জন্য সেনাবাহিনীকে অনুমোদন দিয়েছে। যার লক্ষ্য যেকোনো মূল্যে আশ-শাবাবের বিজয় অভিযান পতিহত করা।
জানা গেছে যে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নতুন করে পেন্টাগনকে আশ-শাবাবের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেছে। আশ-শাবাব সম্প্রতি সোমালিয়ায় তার নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলের সীমানা বাড়িয়েছে। সেই সাথে ট্রাম্পের আমলে সোমালিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সময়টাকে পূর্ণাঙ্গরূপে কাজেও লাগিয়েছে প্রতিরোধ বাহিনী আশ-শাবাব।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আশ-শাবাবের বিরুদ্ধে পেন্টাগনের এই অভিযানে মূলত প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিরোধ বাহিনী আশ-শাবাবের নেতাদেকে লক্ষ্যবস্তু করা।
হোয়াইট হাউসের শীর্ষ কথিত “সন্ত্রাস-বিরোধী” উপদেষ্টা এলিজাবেথ শেরউড-র্যান্ডাল কর্তৃক সোমালিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পরে বাইডেনের এই সিদ্ধান্ত এসেছে। শেরউড-র্যান্ডাল এবং তার দল সোমালিয়ায় সামরিক অভিযান মূল্যায়নের প্রক্রিয়ায় 2021 সালের অক্টোবরে সোমালিয়া, জিবুতি এবং কেনিয়া সফর করেছিল।
জানা যায় যে, সন্ত্রাসী দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড জে. অস্টিন সোমালিয়ায় নতুন করে স্পেশাল সামরিক বাহিনী মোতায়েনে বাইডেনের নতুন এই সিদ্ধান্তে একটি বড় ভূমিকা রেখেছে। সে এবং শেরউড-র্যান্ডালের দল বাইডেনকে এমন সীদ্ধান্ত নিতে প্রভাবিত করেছে।
সন্ত্রাসী দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন এক বিবৃতিতে বলেছে, “এই সিদ্ধান্তটি এই কারণে নেওয়া হয়েছে যে, এটি আশ-শাবাবের বিরুদ্ধে এই লড়াইকে আরও কার্যকর ও সক্ষম করে তুলবে”।
এছাড়াও, ওয়াটসন বলেছে, “এই অঞ্চলে আমাদের বাহিনীর সামরিক কার্যকারিতা সর্বাধিক করতে এবং আমাদের অংশীদারদের আরও দক্ষ করে তুলতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সেই সাথে এই চুক্তির মাধ্যমে আমাদের মিত্রদের সহায়তা প্রদানের জন্য একটি ‘স্থায়ী সামরিক উপস্থিতি’ পুনঃনিয়োজিত করার দিকে মনোনিবেশ করা হয়েছে।
এদিকে ‘ওয়াটসন’ আশ-শাবাবের বিরুদ্ধে সোমালিয়ায় মোতায়েনকৃত বিশেষ বাহিনীর সেনা সদস্যদের সঠিক পরিসংখ্যান নির্দিষ্ট করেনি। তবে বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেন যে, আশ-শাবাবের আক্রমণ মোকাবেলা করতে প্রাথমিকভাবে ৪৫০ সেনাকে সোমালিয়ায় পাঠানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, এমন এক সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পূণরায় সোমালিয়ায় সেনা পাঠাচ্ছে, যখন মার্কিন সেনারা আশ-শাবাবের হাতে মার খেয়ে একবার সোমালিয়া ছেড়েছে। আর প্রতিরোধ বাহিনী আশ-শাবাবও দেশের বৃহত্তর অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অঘোষিত একটি ইসলামি ইমারাত প্রতিষ্ঠা করে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। একই সাথে আফ্রিকান জোটের অংশীদার দেশগুলোর সামরিক বাহিনীকে টার্গেট করে একের পর এক সফল অভিযান পরিচালনা করে আসছেন।
তাই প্রশ্ন জাগে! আশ-শাবাবকে রুখতে আমেরিকার এই সল্প সংখ্যক সৈন্য কি যথেষ্ট হবে। যখন পূর্বে কয়েক হাজারের বিশাল সেনাবাহিনী নিয়েও পরাজয়ের গ্লাণি মাথায় নিয়ে পালিয়েছে তারা। নাকি এটা শুধুই সন্ত্রাসী অ্যামেরিকার লোকদেখানো ভেল্কিবাজি, কিংবা নিজেকে জাহির করার শেষ চেষ্টা?
সন্ত্রাসী আমেরিকা যতই সেনা পাঠাক না কেন, মাইর খাওয়া ছাড়া উপায় নেই। বিজয় মোজাহিদ্দের খুব নিকটেই। ইনশাআল্লাহ