ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন কেনিয়ার গারিসা এবং লামু অঞ্চলে দেশটির কুফ্ফার সামরিক বাহিনীর ২টি কনভয়ে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। এতে কয়েক ডজন শত্রুসেনা নিহত এবং আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
কেনিয়ার সরকারি সূত্রমতে, আশ-শাবাব মুজাহিদিন গত ৬ জুন তাদের প্রথম হামলাটি চালান প্রাদেশিক রাজধানী গারিসার উপকন্ঠে। সেখানে ‘NFD’ এর সেনা সদস্যরা টহল দিতে বের হয়েছিল। আর তখনই সামরিক কনভয়টি টার্গেট করে একটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ফলশ্রুতিতে ইসলামের শত্রুদের একটি সাঁজোয়া যান ধ্বংস হয়ে যায়।
আশ-শাবাব সংশ্লিষ্ট সংবাদ সূত্রও নিশ্চিত করেছে যে, এই বোমা বিস্ফোরণে সাঁজোয়া যানে থাকা সমস্ত কুফ্ফার সৈন্য নিহত এবং আহত হয়েছে। অন্য একটি সূত্র মতে এতে ৩ পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছে।
আশ-শাবাব সূত্রটি আরও যোগ করেছে যে, এদিন শহরটিতে মুজাহিদগণ একটি টার্গেট কিলিং অপারেশন পরিচালনা করছেন। এতে এক চীনা প্রকৌশলীকে হত্যা করা হয়েছে। সংবাদ সূত্রটি থেকে আরও জানা যায়, এদিন কেনিয়ার উপকূলীয় রাজ্য লামুতেও একটি সামরিক কনভয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়েছেন হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন। এতে সামরিক বাহিনীর ৩টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস হয়ে যায়। আশ-শাবাব দাবি করেছে যে, এই হামলায় সাঁজোয়া যানগুলোতে থাকা সমস্ত কুফ্ফার সৈন্য নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরও অনেক।
দেশটির পুলিশ জানিয়েছে যে, সেনা সদস্যরা ইজারা রাজ্যের সাংসদ ইব্রাহিম আব্বাসকে নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া সময় এই হামলাটি চালানো হয়েছে। যখন কনভয়টি হালুকা জেলায় প্রবেশ করছিল, তখনই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, এই হামলায় ইব্রাহিমকে বহনকারী গাড়িটির “চালক ও অন্যান্য কর্মকর্তারা গুরুতর আহত হয়েছে।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলাটি সোমালিয়ার পাশাপাশি গোটা পূর্ব আফ্রিকা অঞ্চলেই হারাকাতুশ শাবাবের শক্তিশালী উপস্থিতির জানান দিয়েছে। সে সাথে এই অঞ্চলে মার্কিনী বাহিনীর পুনঃআগমন যে নিশ্চিতভাবেই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে যাচ্ছে, সেটাও এই হামলার পর সহজেই অনুমান করা যাচ্ছে।
আলহামদুলিল্লাহ দোয়া করি মুজাহিদীনরা আল্লাহর সাহায্য নিয়ে এগিয়ে যাক