উত্তর প্রদেশের বিখ্যাত আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ ছাত্র রেলপুলিশ কর্তৃক ব্যাপক প্রহারের শিকার হয়েছেন। পুলিশের কাছে কোন একটি বিষয়ে সাহায্য চাইলে তাদেরকে টয়লেটের ভেতরে মারধর করা হয়। এমনকি তাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ নামের একজনকে হাসপাতালে ভর্তি পর্যন্ত করা হয়।
নির্যাতনের শিকার ৩ ছাত্রের একজন শহিদুল জানান, তারা তাদের এক বন্ধুকে আলীগড় স্টেশনে বিদায় দিতে গিয়েছিলেন। সাহায্য চাওয়ার পর যখন পুলিশ তাদের মুসলিম পরিচয় সনাক্ত করে, তখনই তাদেরকে আক্রমণ করে ঐ রেলপুলিশ। প্রতিবাদ জানালে আরও বেড়ে যায় অত্যাচারের মাত্রা।
আব্দুল্লাহ নামক যে ছাত্রটিকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল, তার সম্পর্কে শহিদুল জানান যে, আব্দুল্লাহ খুবই নম্র, বিনয়ী ও লাজুক স্বভাবের ছিলেন। তার ভাষায়, “আর এজন্যই তাকে মারা হচ্ছিল যে, সে দাড়িওয়ালা, পায়জামা-কোর্তা পরনে ছিল। সে ছিল আমাদের মধ্যে সবচেয়ে ভাল। আপনি তার সম্পর্কে যে কাউকে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন, বেঙ্গলে বা বিহারে; সবাই বলবে যে আব্দুল্লাহ ভাই কেমন ভালো মানুষ।”
এভাবেই ভারত জুড়ে কোন কারণ ছাড়াই হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন ও জনতার সম্মিলিত অত্যাচার, এমনকি হত্যার আহ্বান ধেয়ে আসা মুসলিম নিধনযজ্ঞের জানান দিচ্ছে; বিশ্লেষকদের মতে যা ক্ষুদ্র পরিসরে শুরুও হয়ে গেছে।
শত্রুরা প্রস্তুত; তাই মুসলিমদেরকেও নিজেদের জান-মাল-ইজ্জত-আব্রুর নিরাপত্তা বিধানের প্রস্তুতি নিতে বরাবরের মতোই আহ্বান জানিয়েছেন হক্কানী উলামায়ে কেরাম।
তথ্যসূত্র :
———
1. Three students of Uttar Pradesh’s Aligarh Muslim University on Thursday have been allegedly beaten up by Aligarh Railway Police personnel in the station toilet, when asked for assistance.
– https://tinyurl.com/3npsy763
আহ এমন পরিনাম হবে ভাবতে পারেনি মুসলিম সম্প্রদায় আর এখন তাহা বাস্তব এর পরেও কি জিহাদ ফরজ নয়?