সারা বিশ্বে আধুনিক দাসত্বের শিকার কোটি কোটির বেশি মানুষ। আর বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশ যুক্তরাষ্ট্রের এই সংখ্যা চার লাখের বেশি। মহাদেশ হিসেবে এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি মানুষ আধুনিক দাসত্বের কবলে রয়েছেন। সবচেয়ে বেশি উত্তর কোরিয়ায়। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতে সবচেয়ে বেশি মানুষ এই আধুনিক দাস-প্রথার শিকার।
১৬৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯২ নম্বরে। বাংলাদেশে প্রায় ৫ লাখ ৯২ হাজার মানুষ আধুনিক দাসত্বের কবলে রয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার ‘দ্য গ্লোবাল স্লেভ ইনডেক্স’ বা বৈশ্বিক দাসত্ব সূচক নিয়ে প্রকাশিত রিপোর্টে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
দাসপ্রথার বিরুদ্ধে কাজ করা সংগঠন ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশন প্রতি বছর এ সূচক রিপোর্ট তৈরি করে। বিশ্বের ১৬৭ দেশে গবেষণা চালিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে। রিপোর্টে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে চার লাখেরও বেশি মানুষ রাষ্ট্রের চাপিয়ে দেয়া শ্রম, যৌন নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রে সংখ্যার চেয়ে সারা বিশ্বে এই সংখ্যা প্রায় ১০০ গুণ বেশি। তাদের হিসেবে বিশ্বে ৪ কোটি ৩ লাখ এই দাসত্বের শিকার।
ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশন জানায়, আধুনিক দাসত্ব বিষয়টি অনেক জটিল। সীমানা পেরিয়ে এই অপরাধের পরিধি বিস্তৃত। এই সূচক তৈরিতে জাতীয় পরিসংখ্যান, জাতিসঙ্ঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মতো সংগঠনেরও তথ্য যুক্ত করেছে ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশন। তবে যারা এই জোরপূর্বক শ্রমের শিকার শুধু তাদেরই আধুনিক দাসত্বের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে সংগঠনটি।
সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্ড্রু ফরেস্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশ। আর এখানেই ৪ লাখ মানুষ দাসের মতো জীবনযাপন করছেন। জোরপূর্বক বিয়ে ও শ্রম চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। এখান থেকেই বোঝা যায় সারা বিশ্বের পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ।’ রিপোর্টে দাবি করা হয়, এশিয়া মহাদেশে এই আধুনিক দাসপ্রথা সবচেয়ে বেশি।
ইসলামি চিন্তাবিদরা বলছেন, ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশন যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে এটি বর্তমান পুঁজিবাদী ও গণতান্ত্রিক বিশ্বব্যবস্থায় সত্যিকার দাসত্বের চিত্রকে তুলে ধরেনি। বরং পশ্চিমা সন্ত্রাসীদের চাপিয়ে দেয়া জুলুমের সিস্টেম বিশ্ববাসীর কাছ থেকে আড়াল করতেই এসব রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এজন্য এসব ধোঁকা থেকে সচেতন হয়ে জুলুমের সিস্টেম পরিবর্তনের জন্য নববী সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরার পরমার্শ দিয়েছেন তাঁরা।
তথ্যসূত্র :
——–
১। আধুনিক দাসত্বের শিকার বিশ্বের ৪ কোটি মানুষ
– https://tinyurl.com/yut4zb68
শব্দটা সম্ভবত নিপীড়ন…
দ্রুত সংশোধন করে নেয়ার আবেদন করছি।