পাকিস্তান গাদ্দার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ মূলক অভিযান চালাচ্ছে টিটিপি। গত ১৩ সেপ্টেম্বরের একদিনের হামলাতেই গাদ্দার প্রশাসনের কথিত শান্তি কমিটির প্রধানসহ ১৬ এর বেশি সৈন্য হতাহত হয়েছে।
বিবরণ অনুযায়ী, ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান গত ১৩ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের খাইবার, সোয়াত, কুররাম ও কোয়াহাটে কয়েকটি সফল অভিযান পরিচালনা করছেন। এতে এক ডজনেরও বেশি গাদ্দার সৈন্য নিহত হয়।
মুজাহিদগণ তাদের এসব অভিযানের প্রথমটি পরিচলনা করেন মালাকান্দ প্রদেশের সোয়াত জেলায়। যেখানে মুজাহিদদের পথরোধ করার চেষ্টা করে তালেবান-বিরোধী কথিত শন্তি কমিটি। ফলে মুজাহিদগণ বাধ্য হয়ে পাল্টা হামলা চালান। এতে শান্তি কমিটির প্রধান ইদ্রিস খান সহ ৫ পাকি গাদ্দার সেনা নিহত হয়।
সূত্র জানায়, মুজাহিদদের হাতে নিহত ইদ্রিস খান তালিবানদের শহীদ করা, অপমান করা এবং তাদের পরিবারকে নির্যাতন করার মতো নিকৃষ্ট কাজের সাথে জড়িত ছিলো। ফলে ১৩ বছর ধরে সে মুজাহিদদের কালো তালিকাভুক্ত ছিল।
এদিন একই ধরনের অন্য একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে কুররাম এজেন্সির জিগাড় সামরিক পোস্টের কাছে। যেখানে গাদ্দার সেনাবাহিনী মুজাহিদদেরকে যাতায়াতে বাধা দেয় এবং তাদের অস্ত্র ফেলে দিতে বলে। কিন্তু মুজাহিদরা একে অস্বীকৃতি জানান এবং সংঘর্ষ শুরু হয়। ফলশ্রুতিতে গাদ্দার বাহিনীর ১ কমান্ডার সহ ৩ সেনা নিহত হয়। এবং মুজাহিদগণ নিরাপদ তাদের গন্তব্যে পৌঁছেন।
অপরদিকে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের মুজাহিদরা ঐদিন রাতে খাইবার এজেন্সির জামরুদ এবং কোয়াহাট প্রদেশের বিলি টিং থানায় ২টি পৃথক আক্রমণ চালান। যাতে ল্যান্সনায়েক এবং এক হাভালদার নিহত হয়। সেই সাথে এক এসএইচও সহ পাঁচ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়।
গাদ্দার পাকি সেনা-প্রশাসনের বেইমানি ও যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের পর এখন গাদ্দারদের উপর হামলা জরদার করেছেন তালিবান মুজাহিদিন।