গত ১১ সেপ্টেম্ব রবিবার আজমিরে যাওয়ার পথে শাহজাহানপুরে মুসলিম যাত্রীরা তাদের বাস রাস্তার পাশে খাবারের দোকানে থামায়। নামাযের সময় হয়ে যাওয়ায় সেখানেই খোলা জায়গায় তারা নামায পড়ে নেয়। আর এতেই নাকি মুসলিমরা আইন ভঙ্গ করেছে। হিন্দুত্ববাদী ভিএইচপি কর্মীরা কথিত আইন ভঙ্গের অভিযোগ এনে মুসলিম যাত্রীদের হয়রানি শুরু করে।
স্যোসাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিমদেরকে রাস্তার পাশে নামাজ পড়ার জন্য ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে। কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখে। কয়েকজনকে কান ধরে উঠ-বস করায়। এতকিছুর পরেও ক্ষান্ত হয়নি পাষান্ড বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মীরা। তারা হিন্দুত্ববাদী পুলিশ ডেকে মুসলিমদের আটক করে থানায় পাঠায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জীব বাজপেয়ী বলেছে, “আজমিরে যাওয়ার পথে ১৮ জনকে রবিবার রাতে তিলহার থানায় আনা হয়। কারণ তারা রাস্তার ধারে নামাজ পড়ছিল।”
স্থানীয় হিন্দুত্ববাদী ভিএইচপি নেতা রাজেশ অবস্থি, যে বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছে, সে বলেছে, “আমি এক জায়গায় যাচ্ছিলাম, তখন দেখলাম তারা রাস্তার ধারে নামাজ পড়ছে।” তাই আমি অন্যান্যদের নিয়ে তাদেরকে ধরেছি ও পুলিশকে জানিয়েছি।
এমনিভাবে গত জুলাই মাসে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ মুসলিমদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করেছিল। তাদের অপরাধ হিসেবে দেখানো হয়- তারা লখনউতে সবেমাত্র খোলা লুলু মলে নামাজ পড়েছে। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো এতে আপত্তি জানায় এবং সেখানে হনুমান চালিসা পাঠের অনুমতি চায়।
হিন্দুত্ববাদীরা পূজার নামে রাস্তাঘাটে, মসজিদের সামনে উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে নাচনাচি করতে পারবে তখন কোন সমস্যা হয় না। আর মুসলিমরা খালি জায়গায় নামায পড়লেই আইন ভঙ্গ হয়। বিশ্লেষকগণ তাই বলেছেন, এসব কথিত আইন শুধু মুসলিমদেরকে বিপদে ফেলতে এবং গণহত্যার ক্ষেত্র প্রসস্ত করতেই করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র:
——–
1. VHP made Muslim pilgrims on way to Ajmer apologise for roadside namaaz
– https://tinyurl.com/2p8by9um