বিভিন্ন সময় মুসলিমদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তৃতা দেওয়ার জন্য কুখ্যাত জ্যোতি নরসিংহানন্দ। জ্যোতি নরসিংহানন্দ সরস্বতী এত বড় বড় অপরাধ করার পরও তার কোন বিচার হচ্ছে না। তাই একই ধরনের বিদ্বেষী ভাষণ বার বার দেওয়ার সাহস দেখাচ্ছে।
এবার আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় উড়িয়ে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর, রবিবার আলিগড়ে হিন্দু মহাসভা আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর নরসিংহানন্দ এই মন্তব্য করে।
উত্তরপ্রদেশ উগ্র যোগি সরকারের রাজ্যের মাদ্রাসাগুলির উপর একটি সমীক্ষা পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়ে এক প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সমেয় সে এই মন্তব্য করেছে।
সে আরো বলেছে, “প্রথমে মাদ্রাসা থাকা উচিত নয়।” “তাদেরকে বারুদ দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া উচিত, নয়তো আমাদের চীনের নীতি অনুশীলন করা উচিত এবং মাদ্রাসার সাথে সম্পৃক্তদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো উচিত।”
এই হিন্দু ধর্মীয় নেতা কুখ্যাত নরসিংহানন্দ হরিদ্বার ‘ধর্ম সংসদ’ এ মুসলমানদের গণহত্যার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। মুসলিম নারীদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেছে। তার দেখানো পথেই অন্যান্য উগ্র হিন্দু নেতারাও এখন অহরহ মুসলিম হত্যার প্রকাশ্য দাক দিচ্ছে। তবুও হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন তার বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
যদিও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রবল চাপের মুখে লোক দেখানো জন্য জ্যোতি নরসিংহানন্দকে আটক করা হয়েছিল। ৭ই ফেব্রুয়ারী হরিদ্বারের একটি আদালত তাকে জামিন দিয়ে দিয়েছে। এবারের ঘটনায়ও তার কিছুই হবে না- যা সহজেই অনুমেয়।
ভারতের মুসলিমরা অপরাধ না করেও দোষী, জেলে বন্দী, জামিন হয়না। আর হিন্দু হলে তাদের সাত খুন মাফ। আর যদি কোন কারণে জেলে নেওয়াও হয় তাহলেও সহজেই জামিন হয়ে যায়। জেল থেকে বের হয়ে তারা আরো বেশি উগ্র হয়ে যায়। এভাবেই ভারতের হিন্দুরা ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে মুসলিম গণহত্যার মিশন বাস্তবায়নের দিকে।
তথ্যসূত্র:
——–
1. Yati Narsinghanand booked for saying madrassas, Aligarh Muslim University should be blown up (Scroll)
– https://tinyurl.com/mrxscxj5