সম্প্রতি পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী ও গাদ্দার সরকারি বাহিনীর মাঝে তীব্র লড়াই চলছে। বিশেষ করে এই যুদ্ধ রাজধানীর আশপাশে আশ-শাবাবের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল ঘিরে আরও তুমুল আকার ধারণ করেছে।
স্থানীয় সূত্র মতে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবারেও দেশটির ২১ টি শহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। যেখানে আশ-শাবাব ও সোমালি সরকারি বাহিনীর মাঝে তুমুল লড়াই সংঘটিত হয়েছে। সূত্র মতে, এসব অভিযানের মাধ্যমে বেশ কিছু জায়গায় নতুন করে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে আশ-শাবাব, আবার কোনো কোনো স্থানে সরকারি বাহিনীকে নাকানিচুবানি খাইয়ে যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে পালাতে বাধ্য করেছে আশ-শাবাব যোদ্ধারা।
তবে এসব অভিযানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, জালাজদুদ রাজ্যের ধুসমারিব জেলার একটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়া সেদিন বিকেলের অভিযান। সেখানে গাদ্দার মিলিশিয়া ও আশ-শাবাবের মাঝে একটি ভারী যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। যাতে গাদ্দার মিলিশিয়ারা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে।
সূত্র মতে, কয়েক ঘন্টার তীব্র লড়াইয়ের পর হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন রাজ্যটির সিনাধাকো শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন, যেই শহরটি কিছুদিন পূর্বে মিলিশিয়ারা মুজাহিদদের থেকে দখল করে নিয়েছিলো।
স্থানীয় সংবাদ সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, দীর্ঘ কয়েক ঘন্টার তীব্র লড়াইয়ের পর ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা জালমাদুক এবং ফেডারেল মিলিশিয়াদের ঘাঁটিগুলোতে আবরও পা রেখেছেন। তবে এই বিজয়ের পূর্বে মুজাহিদদের হামলায় সেক্যূলার তুরস্কের প্রশিক্ষিত সোমালি স্পেশাল ফোর্সের গাদ্দার অন্তত ১৫ সেনা নিহত এবং আরও ২০ এরও বেশি সৈন্য আহত হয়েছে। বাকিরা জীবন বাঁচাতে সবকিছু ফেলেই বনজঙ্গল হয়ে পালিয়ে গেছে।
এদিন শাবেলে রাজ্যের ব্লাডোকলী বিমান ঘাঁটির কাছের “রেমহান” নামে নতুন একটি শহরের নিয়ন্ত্রণও নিয়েছেন হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন।
সূত্র মতে, প্রতিরোধ যোদ্ধাদের আসার খবর শুনেই গাদ্দার সরকারী মিলিশিয়ারা শহরটি ছেড়ে পালিয়ে যায়। ফলে মুজাহিদগণ কোন যুদ্ধ ছাড়াই শহরটি ইসলামি শরিয়াহ্ দ্বারা শাসিত ভূমির সাথে একীভূত করে নেন। আলহামদুলিল্লাহ্