ধর্ষণের মহামারি চলছে দেশে; প্রতিদিনই অসংখ্য ধর্ষণের খবর উঠে আসছে সংবাদ মাধ্যমে। ধর্ষণ, ধর্ষণের পর খুন ও পরকীয়ার মত গুরুতর সামাজিক অপরাধ এখন যেন নিত্য নৈমত্তিক ঘটনা। ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে বেশিরভাগ ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ শেষে করা হচ্ছে খুন।
ধারাবাহিক ধর্ষণকাণ্ডের অংশ হিসেবে গত ২৩ সেপ্টেম্বর কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এগুলোর মধ্যে নোয়াখালীর মাইজদীতে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া তাসনিয়া হোসেন অদিতা নামে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যা করে তারই প্রাইভেট শিক্ষক আবদুর রহিম রনি। যশোরের শার্শা উপজেলার বাড়িতে একা পেয়ে সুমি খাতুন নামে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে উক্ত এলাকার তিন যুবক। ঝালকাঠির নলছিটিতে পঞ্চম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে বিদ্যালয়েই প্রাইভেট পড়ার শেষে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে বিদ্যালয়ের দপ্তরির বিরুদ্ধে। রাজবাড়ীতে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয় তারই প্রতিবেশি এক যুবকের দ্বারা। খুলনা নগরে এক তরুণী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় ওই তরুণী বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে আড়ংঘাটা থানায় মামলা করে। এগুলো মিডিয়ায় উঠে আসা একদিনের কিছু ঘটনা মাত্র, বাস্তবে ঘটে যাওয়া ধর্ষণকাণ্ডের পরিসংখ্যান আরও ভয়াবহ। প্রতিদিনই অসংখ্য ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, যার বেশিরভাগই অপ্রকাশিত থেকে যাচ্ছে।
সবচেয়ে ভাবনার বিষয় হচ্ছে, ধর্ষণের এই মহামারির কোন কূল কিনারা তো হচ্ছেই না, বরং দিন দিন ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া ধর্ষণের মহামারি ছড়িয়ে পরার উপায় ও পন্থাগুলো আরও সহজসাধ্য করে দিয়েছে সেক্যুলার শাসন ব্যবস্থা। একদিকে পশ্চিমা বেহায়াপনা আর হিন্দুয়ানি রীতিনীতিকে কথিত নারী-উন্নয়ন ও সমাজ এগিয়ে যাওয়ার মাপকাঠি ধরা হচ্ছে। ভারতীয় পরকীয়া ও বেহায়াপনা নির্ভর নাটক সিনেমাকে অবাধে প্রচারের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। টিকটক, লাইক ইটসহ অসংখ্য বিদেশি অ্যাপ যে গুলো ব্যবহার করে তরুণ সমাজ সবচেয়ে বেশি বিপথগামী হচ্ছে, এগুলোকে দেশে অবাধে চলার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে আবার বিয়ের বয়সসীমা বৃদ্ধি ও নিয়ম-কানুন কঠিন করে তোলা হচ্ছে। ধর্ষণের অন্যতম অনুঘটক মদ ও নেশার লাইসেন্স করা হয়েছে সহজলভ্য।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরিধানে বাধা দেয়া হচ্ছে। শালীনতা, ইসলামি রীতিনিতি ও হিজাব পরিহিত ছাত্রীদের জঙ্গি সন্ত্রাসী বলে হেনস্থা করা হচ্ছে। ফলে দেশের প্রত্যেকটি অঙ্গনে চলছে ধর্ষণের মহোৎসব। বাড়িতে ধর্ষণের শিকার হচ্ছে, গাড়িতে ধর্ষনের শিকার হচ্ছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘প্রগতিশীল’ শিক্ষকের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে ছাত্রীরা। কথিত প্রগতিশীল দালাল বুদ্ধিজীবী আর হলুদ মিডিয়া অবাধে ফ্রি-মিক্সিং আর উদ্দম যৌনতাকে ছড়িয়ে দিতে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। ইসলাম ও ইসলামি শাসন ব্যবস্থাকে তুলোধুনো করে যাচ্ছে তারা অশ্লীলতা প্রচারের মাধ্যম হিসেবে; একাজে তারা পাচ্ছে ইসলামবিরোধী সিস্টেমের অবাধ সমর্থন।
আর ধর্ষণের শাস্তি! না আছে কোন কোঠর শাস্তির ব্যাবস্থা, না আছে শাস্তির কোন কোঠর প্রয়োগ। যেটুকুও আছে, দুর্নীতিবাজ প্রশাসন আর সিস্টেমের ফাঁক গলে প্রভাবসালি ধর্ষকরা বেড়িয়ে যাচ্ছে অনায়েসে।
ইসলামি চিন্তাবীদগণ বলছেন, এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে মানুষকে অবশ্যই কোরআন সুন্নাহর দিকে ফিরে আসতে হবে। ভেঙে ফেলতে হবে পশ্চিমা তন্ত্র-মন্ত্র আর গোলামির জিঞ্জির, ফিরে আসতে হবে শরিয়ার ছায়াতলে। তবেই মুক্তি মিলবে ধর্ষণের মতো মহামারি থেকে।
তথ্যসূত্র:
——–
১। শার্শায় কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ-
– https://tinyurl.com/2futr9dw
২। নোয়াখালীতে বাসায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে খুন-
– https://tinyurl.com/2d3np7u8
৩। বাড়িতে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ-
– https://tinyurl.com/2f89ubn5
৪। খুলনায় তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা-
– https://tinyurl.com/2ychmpkr
৫। দুই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ দপ্তরির বিরুদ্ধে-
– https://tinyurl.com/bdzvepkn
এমনও কিছু ধর্ষনের ঘটনা আছে যে গুলো মিডিয়াতে উঠে আসে না। ধর্ষনকারী যদি প্রভাবশালী হয় তাহলে যাকে ধর্ষন করা হয় তাদের পরিবারকে বিভিন্ন রকম ভয় দেখিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়। সামপ্রতি একটা ঘটনা সাংবাদিকে টাকার বিনিময়ে ও ভুক্তভোগীদের হুমকির মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। এই লিংটি দেখুন
https://www.facebook.com/100004370464016/posts/pfbid02aKUdAXYcUGDRFLH6FbQDsKH3jp1oPAJHa3p1H4wd4dCucyv266mgwVj2zVRU7cvjl/
ইসলামিক শরীয়াহ যেভাবে নোয়াখালীর তাসমিয়া হোসেন অদিতি (১৪) হত্যার মতো ঘটনা রোধ করতে পারে।
১. নন মাহরাম শিক্ষকের কাছে না পড়া, মেয়েরা মেয়ে শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়া। (কিশোর ও যুবকরা ম্যাডামের কাছে না পড়া)
২. নন মাহরাম এর সাথে পর্দা করা।
৩. হাদিস অনুযায়ী নন মাহরাম এর সাথে নির্জনে একাকী না হওয়া।
৪. নিজের সৌন্দর্যের পর্দা করা রাতে রাক্ষস দের চোখ না পড়ে।
৫. নৈতিক শিক্ষা, কর্মসংস্থান, দ্রুত বিয়ের ব্যবস্থা করা এবং অপরাধীদের জনসম্মুখে কঠোর শাস্তি দেওয়ার মাধ্যমে ধর্ষক হওয়ার পথ রোধ করা।
★ আগে মেয়েদের নখ বড় রাখা কে খারাপ ভাবতাম, এ ঘটনা থেকে অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করতে, নখের প্রয়োজনীয়তাও দেখা গেছে!
সাথে সবা বোনদের আত্মরক্ষার কৌশল শিখা উচিত।
আপনি হয়তো দ্বিমত করতে পারেন কিন্তু ঘটনাটার সাথে লেখাগুলো মিলিয়ে নিতে পারে।
আল্লাহ স্বাধীন পরাধীন সব অঞ্চলের মুসলিম মেয়েদের ইজ্জত রক্ষা করুন, 😭 সারা বিশ্বের মুসলিমদের শরীয়াহ আইন বাস্তবায়ন করার তৌফিক দিন। 🤲🤲
@AbdullahMCABD
Share & Viral it Please