পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে দখলদার ফ্রান্সের কবর রচনার পর এখন রুশ ভাড়াটেদের কবর রচনার কাজে মনোনিবেশ করছেন আল-কায়দার বীর যোদ্ধারা। সম্প্রতি দেশটিতে দখলদার ও গাদ্দার বাহিনীর বিরুদ্ধে তীব্র হামলার ঝড় তুলেছেন মুজাহিদগণ। যাতে অসংখ্য সৈন্য নিহত এবং আহত হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্র মতে, গত ১৮, ২১ এবং ২২ সেপ্টেম্বর এমনই বেশ কয়েকটি বীরত্বপূর্ণ অপারেশন পরিচালনা করছেন আল-কায়দা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন।
এরমধ্যে রয়েছে গত ১৮ সেপ্টেম্বর দেশটির মোপ্তি রাজ্যের বন্দগায়ারা জেলায় একটি শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস বিস্ফোরণ। যা কার্নুল গ্রামে গাদ্দার মালিয়ান সেনাবাহিনী এবং দখলদার রাশিয়ান ওয়াগনার ভাড়াটেদের একটি কনভয় লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। এতে রুশ বাহিনীর ১টি গাড়ি বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে যায় এবং অন্যগুলি ক্ষতির শিকার হয়। এসময় ধ্বংস হওয়া সাঁজোয়া যানে থাকা সমস্ত সৈন্য নিহত হয়। এবং অন্য সাঁজোয়া যানগুলোতে থাকা সেনারা আহত হয়।
এরপর গত ২১ ও ২২ সেপ্টেম্বর গাদ্দার মালিয়ান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আরও ২টি অপারেশন পরিচালনা করেছেন মুজাহিদগণ।
এরমধ্যে প্রথমটি চালানো হয় কলিকোর রজ্যের নিয়ামিনা শহরের প্রধান প্রবেশধারে। যেখানে গাদ্দার মালিয়ান সেনারা শহরের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে টহল দিচ্ছিল। আর ঠিক তখনই মুজাহিদগণ গাদ্দার সেনাদের উপর অতর্কিত হামলা চালান। এতে গাদ্দার সামরিক বাহিনীর অর্ধডজন সেনা সদস্য নিহত এবং আহত হয়। সেই সাথে মুজাহিদগণ ৪টি মোটরসাইকেল, প্রচুর সংখ্যক বিস্ফোরক ডিভাইস সহ বেশ কিছু অস্ত্র গনিমত লাভ করেন।
মুজাহিদগণ দ্বিতীয় হামলাটি চালান একই রাজ্যের সিবাবগো এবং জিমাক শহরের মধ্যে সংযোগকারী প্রধান সড়কে। যেখানে মুজাহিদগণ গাদ্দার মালিয়ান সেনাবাহিনীর একটি দলকে টার্গেট করে অতর্কিত হামলা চালান। ফলে সেখানে লড়াই ছড়িয়ে পড়ে।
অবশেষে মহান আল্লাহ তাআ’লার সাহায্যে মুজাহিদগণই বিজয় লাভ করেন। এসময় মুজাহিদদের হামলায় গাদ্দার মালিয়ান সেনাবাহিনীর অন্তত ৩ সৈন্য নিহত এবং আরও বহু সংখ্যক গাদ্দার আহত হয়। বাকি কাপুরুষ মালিয়ান সৈন্যরা নিজদের সামরিক সরঞ্জাম ফেলেই পালিয়ে যায়। ফলে মুজাহিদগণ ঘটনাস্থল থেকে ৬টি ক্লাশিনকভ, ১টি বড় দুশকা, অস্ত্র ভর্তি ৪টি বাক্স, প্রচুর সংখ্যক গোলাবারুদ এবং অসংখ্য সামরিক সরঞ্জাম গনিমত লাভ করেন।
অভিযানে গাদ্দার মালিয়ান সেনাবাহিনীর একটি গাড়িও পুড়িয়ে দেন মুজাহিদগণ। তবে হামলায় একজন মুজাহিদও শহীদ হয়েছেন। ইনশাআল্লাহ্।