যুদ্ধবিরতির মধ্যেই চলতি মাসে, পাকিস্তান গাদ্দার সামরিক বাহিনী ও প্রতিরোধ বাহিনী টিটিপির মাঝে লড়াই তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে বহুসংখ্যক গাদ্দার পাকি সৈন্য নিহত এবং আহত হচ্ছে।
এসব সংঘর্ষের বিষয়ে টিটিপি ঘোষণা করেছে যে, তাঁরা এখনো যুদ্ধবিরতি মেনে চলছেন। তাবে পাকিস্তান গাদ্দার সামরিক বাহিনী চুক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে এবং বিভিন্ন স্থানে সমস্যা সৃষ্টি করছে। ফলে টিটিপি’র বীর প্রতিরোধ যোদ্ধারা প্রতিরক্ষা মূলক অভিযান পরিচালনা করছেন। আর এতেই গাদ্দার পাকি সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপকহারে হতাহতের ঘটনা ঘটছে।
প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ঘেটে দেখা যায়, ২ সেপ্টেম্বর থেকে গত ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টিটিপির বীর যোদ্ধারা পাকিস্তানের ১২টি জেলায় ২৭ টিরও বেশি অভিযান পরিচালনা করেছেন। এছাড়াও ৪টি আত্মসমর্পণের ঘটনাও ঘটেছে, যাতে ৬ পাক-সেনা টিটিপির কাছে অস্ত্র সহ আত্মসমর্পণ করেছে।
প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের এই ২৭টি হামলার ২১টিতেই পাক সামরিক বাহিনীর অন্তত ৬০ গাদ্দার সেনা ও পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও কয়েক ডজন গাদ্দার সেনা সদস্য।
এদিকে ৬টি হামলায় গাদ্দার সামরিক বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির সুনির্দিষ্ট কোন পরিসংখ্যান জানা না গেলেও, ধারণা করা হচ্ছে, সেগুলোতে আরও ২ ডজনেরও বেশি সৈন্য নিহত এবং আহত হয়েছে। এই অভিযানগুলোর মধ্যে সবচাইতে দীর্ঘ লড়াই সংঘটিত হয়েছিলো লাকি মারওয়াতের দারা-তুং উপত্যকায়; যা ২০ সেপ্টেম্বর রাত দশটায় শুরু হয়ে পরের দিন সকাল ৮ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
টিটিপির তথ্য মতে, মুজাহিদদের এই অভিযানে গাদ্দার পাকি সেনাবাহিনী ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। ফলে ঘটনাস্থল থেকে সেনাবাহিনীর মৃতদেহ ও আহতদের পরিবহনে হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে হয়েছিলো। তবে এই লড়াইয়ে টিটিপিরও দুইজন মুজাহিদ শফিউর রহমান ও ইনামুল্লাহ শহীদ হন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন।
প্রিয় ভাইয়েরা ! যদি একটু কষ্ট করে TTP র ওয়েব সাইট এর লিঙ্ক টি দিতেন ! অনেক উপকৃত হতাম !!!
আল্লাহ আপনাদের সহায় হোন ।