ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানাতে হিন্দুত্ববাদীরা অনেক আগে থেকেই কিছুটা গোপনীয়ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছিল; তারা অপেক্ষায় ছিল উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির। এবার রাজ্যের স্বয়ংসেবকদের প্রকাশ্যে প্রস্তুত হওয়ার আদেশ দিয়েছে আরএসএস প্রধান উগ্র মোহন ভাগবত।
সে বলেছে, ভারতকে এমন একটা হিন্দু রাষ্ট্র হিসাবে তৈরি করতে হবে যেন পৃথিবীর অন্যান্য হিন্দুরা এসে এদেশের মানুষের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারে। তাই সে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রতিটি সদস্যকে সেভাবেই তৈরি করার আদেশ দিয়েছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর, বুধবার কলকাতায় এসে রাজ্যের আরএসএস নেতৃত্বের উপর সেই দায়িত্বই দিয়ে গেছে সংঘপ্রধান মোহন ভাগবত। সায়েন্স সিটিতে বাংলায় সংঘের প্রবীণ প্রচারক কেশবরাও দীক্ষিত ও শ্যামলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মরণসভায় যোগ দেয় ভাগবত।
সে বলেছে, ভারতকে গোটা বিশ্বের কাছের আদর্শ হিসাবে গড়ে তুলতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে দায়িত্ব নিতে হবে। সেভাবেই স্বয়ংসেবকদের তৈরি করতে হবে।
যখন ভাগবত কলকাতায় এসে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আদেশ দিয়েছে, তখনই নামে মাত্র মুসলিম সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’কে নিষিদ্ধ করেছে হিন্দুত্ববাদী মোদী সরকার। শত শত পিএফআই সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’কে মৌলবাদী সংগঠন আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। মুসলিম বিশ্লেষকগণ তাই প্রশ্ন তুলেছেন যে, ‘পপুলার ফ্রন্ট তো ভারতকে মুসলিম রাষ্ট্র বানানোর ঘোষণা দেয়নি। কোন ধরণের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করেনি। অন্যদিকে, আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ প্রকাশ্যে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর ঘোষনা দিচ্ছে, অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। মুসলিমদের পিটিয়ে হতাহত করছে। তাদেরকে কেন নিষিদ্ধ করা হয় না!’
এব্যাপারে বিশ্লেষকগণ জানিয়েছেন, তাদের নিষিদ্ধ করা হবে না। কারণ প্রশাসন ও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর উদেশ্য একই- মুসলিমদের উপর গণহত্যা চালিয়ে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানো। এর ঘোষণা তারা প্রকাশ্যভাবেই দিয়ে যাচ্ছে। মুসলিমদেরকেও তাই পরিস্থিতির নাজুকতা অনুধাবনপূর্বক সতর্ক প্রস্তুতি নিতে বলেছেন তাঁরা।
তথ্যসূত্র:
——–
১. হিন্দু রাষ্ট্র হবে ভারত, রাজ্যের স্বয়ংসেবকদের প্রস্তুত হতে বলল ভাগবত
– https://tinyurl.com/5n6n424h