ঢাকায় উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরে এক গৃহবধূকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে। জানা যায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার গভীর রাতে একটি পরিত্যক্ত প্লটে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ওই গৃহবধূকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে অজ্ঞান অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে।
তুরাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার জানায়, মঙ্গলবার ভোরে টঙ্গী পূর্ব থানার উপপরিদর্শক মনির এক নারীকে নিয়ে তুরাগ থানায় আসেন। তিনি জানান, ওই নারীকে মঙ্গলবার গভীর রাতে উত্তরার দুই থেকে তিনজন বখাটে ধর্ষণ করেছে। বর্তমানে ওই নারী অজ্ঞান থাকায় ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।
বর্তমানে দেশজুড়ে প্রতিদিনই একাধিক ধর্ষণের খবর শিরোনাম হচ্ছে। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট কোথাও না কোথায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। দেশে এখন কোথাও নারীদের নিরাপত্তা নেই, এমনকি বাড়িঘরেও নিরাপদ নয় নারীরা। ঘরে প্রবেশ করে ধর্ষণের খবরও গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।
পশ্চিমা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় মানুষকে নারী উন্নয়নের লোকদেখানো স্লোগান দিলেও বাস্তবে নারীদের পণ্য হিসেবে ব্যবহার করছে। নারীদের রাস্তা-ঘাটে শ্রমিকের কাজ করতে বাধ্য করছে। অথচ ইসলাম নারীদের সম্মান, নিরাপত্তা ও অগ্রাধীকার প্রদান করলেও, কথিত সুশীল নাস্তিক্যবাদীরা নারী স্বাধীনতার কথা বলে ইসলামের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে। প্রকাশ্যে ইসলামের বিধান পর্দাকে কটাক্ষ করেছে।
এখন যখন নারীরা প্রতিদিন গণধর্ষণের শিকার হচ্ছে, তাদেরকে একটি প্রতিবাদ করতেও দেখা যাচ্ছেনা। পশ্চিমাদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করা কথিত সুশীল সমাজ এমন একটি সমাজই চেয়েছিল, যেখানে সম্মানিত মুসলিম নারীরা পশ্চিমা পশু সভ্যতার মতো জীবন-যাপন করবে। আর তারা তাদের কামনা-বাসনা সহজেই পূরন করতে পারবে। এজন্য এসব নাস্তিক্যবাদীদের বিরুদ্ধে মুসলিম জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান হক্কানী আলেম-উলামার।
তথ্যসূত্র:
——–
১। উত্তরায় গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
– https://tinyurl.com/2p8zuesz