দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তান প্রশাসন ও ইসলামি প্রতরোধ বাহিনী টিটিপি’র মাঝে চলছে আলোচনাকালীন যুদ্ধবিরতি। কিন্তু এর মাঝেও পাকিস্তান গাদ্দার সামরিক বাহিনী চুক্তি লঙ্ঘন করে বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায়। ফলে পাক-তালিবান (টিটিপি) প্রতিরক্ষা মূলক অভিযানের সূচনা করে।
পাকিস্তান গাদ্দার সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ও টিটিপির প্রতিরক্ষামূলক হামলার ফলে, যুদ্ধবিরতির মধ্যেই চলছে তীব্র লড়াই। গত মাসের শেষ দশকে এধরণের ডজনখানেক হামলা চালিয়েছে টিটিপি। এরমধ্যে ৩টি উল্লেখযোগ্য। যাতে পাকিস্তান গাদ্দার সামরিক বাহিনীর অন্তত ৪৩ সৈন্য হতাহত হয়েছে।
এরমধ্যে প্রথম হামলার ঘটনাটি ঘটে গত ২৩ অক্টোবর বান্নু প্রদেশের স্পেনওয়াম সীমান্তে। যেখানে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সশস্ত্র প্রতিরোধ যোদ্ধারা গাদ্দার পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর একটি কনভয় লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়েছেন। এতে গাদ্দার বাহিনীর এক কর্নেল সহ অন্তত ১২ সেনা সদস্য নিহত এবং আহত হয়েছে।
এই হামলার কারণ সম্পর্কে টিটিপি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সম্প্রতি গাদ্দার পাকি-বাহিনী কারাবন্দী আমাদের কয়েকজন মুজাহিদ ভাইকে ভূয়া অ্যনকাউন্টারে শহীদ করেছে। আর সেসব ভাইদের রক্তের প্রতিশোধ নিতেই এমন হামলা চালানো হয়েছে।
তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) মুজাহিদগণ তাদের দ্বিতীয় সফল অভিযানটি চালান একই প্রদেশের লাকি-মারওয়াত জেলায়। যেখানে গাদ্দার বাহিনীর প্রায় ১০টি গাড়ির সমন্বয়ে গঠিত একটি কনভয় মুজাহিদদের অবস্থানে হামলার চেষ্টা করে। আর তার জবাবেই মুজাহিদগণ সময়মত শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেন এবং তীব্র পাল্টা হামলা চালান। এতে গাদ্দার সেনাদের বহনকারী একটি গাড়ি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। সেই সাথে মুজাহিদদের সফল হামলায় অফিসার সহ ৮ এর বেশি গাদ্দার সৈন্য হতাহত হয়। আর মুজাহিদগণ নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান, আলহামদুলিল্লাহ।
এমনই আরও একটি সামরিক অপারেশনের ঘটনা ঘটে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের শাক্তোই সীমান্ত এলাকায়। যেখানে গাদ্দার সৈন্যরা মুজাহিদদের একটি কাফেলার উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। ফলে পূর্বের মতো এখানেও মুজাহিদগণ তীব্র পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন।
ফলশ্রুতিতে গাদ্দার সামরিক বাহিনীর ২টি গাড়ি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। আর এক সেনা কমান্ডার সহ ২৩ এর বেশি সৈন্য হতাহত হয়। বিপরীতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া সকল মুজাহিদিন নিরাপদে তাদের কেন্দ্রে ফিরে জান – আলহামদুলিল্লাহ।
এসব হামলার বিষয়ে টিটিপি’র কেন্দ্রীয় মুখপাত্র জানান, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান অবশ্যই ইতিবাচক এবং অর্থবহ সংলাপ বিবেচনা করে। তবে এর দ্বারা কখনই এমনটা বোঝা উচিত নয় যে, আমরা আমাদের শহীদ এবং বন্দীদের সম্পর্কে অবগত নই। আর আমরা নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য কিছুই করবো না।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,
আল ফিরদাউস কর্তৃপক্ষ,
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আল ফিরদাউস নিউসের নিয়মিত পাঠক। “আল ফিরদাউস” দাজ্জালি মিডিয়ার বিপরীতে একটি আশার প্রদীপ। নির্যাতিত উম্মাহর পক্ষে বলিষ্ঠ ধ্বনি। আপনাদের আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দান করুন।
কিন্তু, যদি নিউজগুলোর উৎসসূত্র বা লিঙ্ক উল্লেখ করা হতো, হৃদয়ের পরিতৃপ্তি পূর্ণতা পেতো।
বিষয়টি বিবেচনায় রাখার সবিনয় অনুরোধ।
জাযাকুমুল্লাহ আহসানাল জাযা।
আরজগুজার
আপনাদের ছোট ভাই সালাহউদ্দীন