সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পূর্ব তুর্কীস্তানের এক কারখানায় কাজের মেশিনগুলোর পাশেই ঘুমোচ্ছেন উইঘুররা।
উইঘুরদের দিয়ে জোরপূর্বক পরিশ্রম করানোর অভিযোগ চীনের উপর অনেক আগে থেকেই ছিলো। ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওর মাধ্যমে এখন আর কোন সন্দেহের অবকাশ রইলো না।
জোরপূর্বক কাজ করানো ছাড়াও উইঘুরদের যথাযথ মজুরী প্রদান করছে না তারা। অথচ হান চাইনিজদের ঠিকই উইঘুরদের চেয়ে বেশি মজুরী প্রদান করছে এই মুসলিম বিদ্বেষী প্রশাসন।
ঘুলজা শহরের চুলুকি গ্রামের এক উইঘুর মুসলিম বলেন, “আমি ২০০৯ সাল থেকে কিংহুয়া এনার্জি কোম্পানিতে কাজ করছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত মাসে আমি ১,৫০০ ইউয়ান (২১৭ ডলার) এর বেশি পাইনি। অথচ আমার সহকর্মী হান চাইনিজরা ঠিকই ৫ হাজার ইউয়ান মজুরী পাচ্ছে। এদিকে স্বাস্থ্যের অবনতি হবার পরেও তারা আমাকে দিনরাত কারখানাতে কাজ করতে বাধ্য করে। এমনকি আমার মতো অন্যান্য উইঘুরদেরকে তারা কর্মস্থলেই ঘুমোতে বাধ্য করে।”
কাজের অযোগ্য পরিবেশে উইঘুর মুসলিমদের দিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করিয়ে যাচ্ছে দখলদার চীন। থাকা, খাওয়া ও ঘুমানোর জন্য সামান্যটুকু ব্যবস্থাও করেনি তারা উইঘুর মুসলিমদের জন্য। আর সেই সাথে কম পারিশ্রমিক তো আছেই। এক কথায়, উইঘুর মুসলিমদের সাথে একদম ক্রীতদাসের মতো আচরণ করছে তারা।
উল্লেখ্য যে, বিগত পাঁচ বছরে উইঘুরদের উপর দখলদার চীন তাদের দমন-নিপীড়ন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে- ধর্ষণ, অঙ্গ অপসারণ, মসজিদ ধ্বংস, কুরআন অবমাননা, ইসলামী বিধান অনুযায়ী চলায় নিষেধাজ্ঞা ইত্যাদি।
এছাড়াও উইঘুর মুসলিমদের তুর্কীস্তানের বাইরে যে কোন দেশে সফরেও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে বর্বর চীনা প্রশাসনটি। সেনা এবং সিসি ক্যামেরা দিয়ে প্রতিনিয়তই নজরদারিতে রেখেছে মুসলিমদের। এমনকি যেকোন ছোট্ট অজুহাতেও তাদের বন্দী করতে দ্বিধা করছে না তারা।
তথ্যসূত্র:
——–
1. Strong evidence that shows how Uyghurs are working as slave labor in Chinese factories
– https://tinyurl.com/39w6ceua
2. Low pay, long hours for Uyghurs in Chinese-owned plant in Xinjiang
– https://tinyurl.com/y2c5wywd
এই ধরনের নিউজ পড়তে আর একেবারেই ভালো লাগেনা, বিশেষ করে ইউঘুরদের নিউজ।
কিছু করতেও পারি না আবার সইতেও পারি না।
শুধু শুধু হৃদয়ের রক্তক্ষরণ হয়।