ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতা ও আমিরুল মু’মিনিন শায়খুল হাদীস মৌলভি হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদাহ্ হাফিজাহুল্লাহ্, চলতি মাসের মধ্যভাগে দেশটির সর্বোচ্চ পর্যায়ের বিচারকদের সাথে একটি বৈঠক করেন তিনি। উক্ত বৈঠক শেষে আমিরুল মু’মিনিন প্রকাশ্য ঘোষণা করেন যে, এখন থেকে আফগানিস্তান চলবে পূর্ণ শরিয়াহ্ দ্বারা। যার প্রতিটি বিচারকার্য পরিচালিত হবে ইসলামি শরিয়াহ্ ভিত্তিক আইন দ্বারা। অপরাধীদের শাস্তি প্রমাণীত হলে তাদের উপর প্রকাশ্যে শরয়ী হুদুদ কিসাস বাস্তবায়ন করা হবে।
এরপর ইমারাতে ইসলামিয়ার মুখপাত্র মুহতারাম জাবিহুল্লাহ্ মুজাহিদও বিষয়টি শেয়ার করেন। এবিষয়ে তিনি আরও যোগ করে বলেন, আমিরুল মু’মিনিন কর্তৃক বিচারকদের সাথে বৈঠক শেষে সারা দেশে শরীয়া হদ বাস্তবায়নের প্রকাশ্য পরামর্শ দেওয়ার অর্থ এই নয় যে, ইমারাতে ইসলামিয়া ক্ষমতায় আসার পর মহান রব্বুল আলামিন কর্তৃক নির্ধারিত শরয়ী হদ বাস্তবায়ন করেনি; বরং ইমারাতে ইসলামিয়া প্রথম দিন থেকেই সকল শরিয়া আইন বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলো।
এই সিদ্ধান্তের পর আমিরুল মুমিনিন হাফিজাহুল্লাহ্ অন্য একটি বিবৃতিতে বলেন, ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের সকল বিচারক তাদের বিচারকার্যের সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং শরিয়াহ্ ব্যবস্থা জারি করার ক্ষেত্রে স্বাধীন। বিচার বিভাগ রাষ্ট্রের অন্যান্য সমস্ত বিভাগ থেকেও স্বাধীন, এমনকি সমস্ত বিভাগের উপর তাদের কর্তৃত্ব চলবে।
যেদিন কোনো গভর্নর বা কমান্ডার কারো বিরুদ্ধে মামলা হবে, সেদিনও বিচার বিভাগ তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকবে। আর আদালতে বিচরকের রায় যদি, সেনাপ্রধান, গভর্নর বা ইমারাতের কোন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও যায়, তখনও তা সকলে মেনে নিতে বাধ্য।
যাহোক, ইমারাতে ইসলামিয়ার সর্বোচ্চ নেতৃবৃন্দ থেকে এমন বিবৃতির পর সারা দেশেই প্রকাশ্যে বিশাল মাঠে জনসম্মুখে শরয়ী হদ কার্যকর করা শুরু হয়েছে। যা আগে অনেকটাই নিরবতার সাথে করা হতো।
এই ঘোষণার পর প্রথম একসপ্তাহেই আফগানিস্তানের ৫টি প্রদেশে কয়েকজন নারী সহ প্রায় ৪২ অপরাধীর উপর শরয়ী হদ কার্যকর করা হয়েছে।
এসব অপরাধীদেরকে বিশাল মাঠে হাজার হাজার মানুষের সামনে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত, কারাদণ্ড, আর্থিক ক্ষতিপূরন ও নির্বাসনের মতো বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তি দেওয়া হয়।
অপরাধীদেরকে যেসব প্রদেশে এসব শাস্তি দেওয়া হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- তাখার, লোঘার, লাঘমান, বামিয়ান ও কান্দাহার।অপরাধগুলি ছিলো, ব্যভিচার, চুরি, অবৈধ সম্পর্ক ও ফৌজদারি অপরাধ।
এবিষয়ে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের একজন কর্মকর্তা বলেন, ইসলাম ধর্ম মানব জীবনের সকল বিষয়কে সম্পূর্ণরূপে স্পষ্ট করে দিয়েছে, যেনো মুসলমানরা ইসলামি শরিয়াহ্’র ছায়াতলে শান্তি ও নিরাপত্তার সহিত বসবাস করতে পারেন। আর কাফেররা কখনোই ইসলাম ধর্মের বিধি-বিধান বাস্তবায়ন হতে দেখা সহ্য করবে না, ফলে তারা এর বিরোধিতা করেই যাবে।
লোঘার প্রদের প্রধান বিচারপতি বলেন, এই নির্যাতিত জাতির আশা এবং বিগত ২০ বছরের জিহাদের উদ্দেশ্যই ছিলো শরিয়াহ্ ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা এবং আল্লাহর জমিনে আল্লাহর হুকুম সমুন্নত করা। আলহামদুলিল্লাহ আমরা এখন এমনই একটি ভূমি পেয়েছি, যেখানে আল্লাহ তাআ’লার হুকুম বাস্তবায়িত হচ্ছে।
আলহামদুলিল্লাহ
মুহতারাম ভাই আমিরুল মুমিনীন এর নামরে বানান, “হিবাতুল্লাহ“ হবে । আরবীতে হিবাতুল্লাহ লিখা আছে। যদিও “হাইবাতুল্লাহ“ নামের অর্থ ও সুন্দর।
যাজাকাল্লাহু খাইরান।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
মুহতারাম, এখানে আমিরুল মুমিনিনের নাম বাংলায় লেখা হয়েছে হাইবাতুল্লাহ। অথচ আরবি প্রোফাইল পিকচার যেটা এখানে দেওয়া আছে, সেখানেও লেখা আছে হিবাতুল্লাহ। আর আমার জানামতে এখানে ওনার নামের উচ্চারণটি হিবাতুল্লাহই হবে এবং উনারা এভাবেই লিখে আসছেন আমার যতটুকু দেখা। সুতরাং, হাইবাতুল্লাহ এটি ভুল উচ্চারণ। যা লোক মুখে প্রচলিত। বিশেষভাবে আমাদের বাংলাদেশের অনেকের মুখে এভাবেই প্রচলিত। অথচ, এটি একটি “গলত মাশহুর”। এজন্য হাইবাতুল্লাহ না লেখে হিবাতুল্লাহ লেখার অনুরোধ থাকলো এবং বিষয়টি নিয়ে ভালোভাবে তাহকীক করার অনুরোধ থাকলো। আর একটা বিষয় হচ্ছে- এ ধরনের একটা জায়গায় এ ধরনের একটা ভুল আসলেই মেনে নেওয়াটা একটু কষ্টকর। এজন্য যেকোন বিষয়ে একটু তাহকীক করে এরপরে লেখার অনুরোধ থাকলো।
ওয়াসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
এখানে আমি আমার লেখার মধ্যে এক জায়গায় প্রোফাইল পিকচার লেখেছি। ওখানে আসলে প্রোফাইল পিকচার না হয়ে ফাইল ফটো হবে।
ওয়া লাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
জাযাকাল্লাহু খাইরান ভাই।
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته