পশ্চিম আফ্রিকার মালি সংলগ্ন দেশ বুরকিনা ফাসোতে সামরিক অভিযানের পরিধি ক্রমেই বিস্তৃত করছে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। সম্প্রতি মুজাহিদদের চালানো একাধিক হামলায় লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে দেশটির পুলিশ বাহিনী, সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগী ফরেস্ট রেঞ্জাররা।
পশ্চিম আফ্রিকার একাধিক আঞ্চলিক সূত্র ও প্রতিরোধ বাহিনী জামায়াত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন (জেএনআইএম) এর অফিসিয়াল মিডিয়া আউটলেট ‘আয-যাল্লাকা’ থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট মোতাবেক, মুজাহিদরা নভেম্বর মাসের ২৪ তারিখ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে বুরকিনা ফাসোতে অন্তত ৩টি পৃথক সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছেন। যাতে বহুসংখ্যক পুলিশ, সেনা সদস্য ও তাদের সহযোগী আহত, নিহত ও আটক হয়েছে। একই সাথে মুজাহিদগণ গণিমত হিসেবে লাভ করেছেন বিপুল পরিমাণ যুদ্ধ সরঞ্জাম।
এরমধ্যে গত ২৪ নভেম্বর জেএনআইএম মুজাহিদগণ বুরকিনা ফাসোর কোমোয়ে প্রদেশের ওউও (Ouo) অঞ্চলে একটি অতর্কিত হামলা চালান। যা দেশটির সেনাবাহিনীকে টার্গেট করে পরিচালনা করেন মুজাহিদগণ। এই অভিযানের মাধ্যমে মুজাহিদগণ সামরিক সরঞ্জাম জব্দ করার পাশাপাশি আটক করেন সেনাবাহিনীকে তথ্য দিয়ে সহায়তাকারী এক ফরেস্ট রেঞ্জারকে। জেএনআইএম-এর আনঅফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে গণিমত ও উক্ত রেঞ্জারের ভিডিও প্রকাশ করা হয়।
এরপর ২৫ নভেম্বর মুজাহিদগণ বোরযানগা থেকে কোংগোসি গমনকারী বুরকিনান সেনাবাহিনীর একটি সাঁজোয়াযান লক্ষ্য করে মাইন বিস্ফোরণ ঘটান। এতে সাঁজোয়াযানটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় এবং ভিতরে থাকা সবাই নিহত হয়। যানটি এমনভাবে ধ্বংস হয় যে, ধ্বংসাবশেষ দেখে মুজাহিদগণ হতাহতের সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা নির্ণয় করতে পারেননি।
এদিকে গত ২৮ নভেম্বর বুরকিনা ফাসোর সানমাতেনগা প্রদেশের মানে শহরে জেএনআইএম-এর একদল সশস্ত্র মুজাহিদ শহরটির টাউন হলে প্রবেশ করেন। এসময় মুজাহিদগণ শহরের পুলিশ স্টেশনে আক্রমণ চালান। যেখানে মুজাহিদদের কাছে শোচনীয় পরাজয় বরণ করে দেশটির পুলিশ বাহিনী। পরে মুজাহিদগণ উক্ত পুলিশ স্টেশনে আগুন লাগিয়ে তা ধ্বংস করে দেন। একইসাথে টাউন হলটি আক্রমণ করে তছনছ করে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য যে, মানে শহর থেকে বুরকিনা ফাসোর রাজধানী ওয়াগাদোগু মাত্র ৭০ কিলোমিটার দূরে। এটি ‘জেএনআইএম’ মুজাহিদদের জন্য অনেক গুরত্বপূর্ণ একটি শহর। যেখান থেকে মুজাহিদগণ সহজেই গাড়িবহর নিয়ে অদূর ভবিষ্যতে রাজধানীতে অভিযান পরিচালনা করতে পারবেন- ইনশাআল্লাহ।