পাকিস্তান প্রশাসন ও দেশটির জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী টিটিপির মাঝে বিগত ৭ মাস ধরে চলছিলো যুদ্ধবিরতি। যা চলতি মাসের এক তারিখে শেষ হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)।
এই যুদ্ধবিরতি সমাপ্ত হওয়ার পর থেকে দেশ জুড়ে সামরিক অভিযান বাড়াচ্ছে প্রতিরোধ বাহিনী টিটিপি। যাতে আতংকিত হয়ে পড়েছে পাকি-সামরিক বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। কেননা যুদ্ধবিরতি চুক্তি শেষ হওয়ার পর গত ২ ও ৩ তারিখে পাকিস্তান জুড়ে ৯টি সফল হামলা চালিয়েছেন প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর অন্তত ২২ সৈন্য নিহত এবং আহত হয়েছে।
এরমধ্যে ডিআই-খান প্রদেশে টিটিপি কর্তৃক পরিচালিত ৩টি হামলায় অন্তত ৭ সৈন্য নিহত হয়েছে। এই হামলাগুলোতে আহত হয়েছে আরও বেশ কিছু গাদ্দার সৈন্য।
তবে মুজাহিদগণ প্রদেশটির কেন্দ্রীয় ওয়ানার এলাকায় তাদের সবচাইতে সফল হামলাটি চালিয়েছেন। যেখান পাকি-সামরিক বাহিনী এফসি-এর একটি কনভয়কে টার্গেট করে অতর্কিত আক্রমণ করেন মুজাহিদগণ। আর তাতে সামরিক বাহিনীর ৩টি এফসি গাড়ি ধ্বংস হয়। এসময় গাড়িগুলোতে থাকা সকল গাদ্দার সৈন্য নিহত এবং আহত হয়। যাদের মাঝে কর্নেল এবং আইজিএফসিও রয়েছে। তবে এই অভিযানে কত সেনা সদস্য নিহত এবং আহত হয়েছে তা সুনির্দিষ্ট ভাবে জানা যায় নি।
কেননা হামলার পর সেনাবাহিনী পুরো এলাকাটি ঘিরে ফেলে, ফলে মুজাহিদগণ কোন হতাহত হওয়া ছাড়াই হামলার পর দ্রততার সাথে ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদে সরে পড়েন- আলহামদুলিল্লাহ।
অপরদিকে টিটিপির মুজাহিদগণ মরদান ও পেশওয়ারে ৫টি সফল হামলা চালিয়েছেন। যেগুলোতে অন্তত ৯ গাদ্দার সেনা নিহত এবং আরও ৬ এরও বেশি গাদ্দার সৈন্য আহত হয়েছে।