হিন্দুত্ববাদী ভারতের অবৈধভাবে দখলকৃত কাশ্মীরে বেকারত্বের হার বেড়েই চলেছে। গত অক্টোবর মাসেই কাশ্মীরে বেকারত্বের হার ছিলো ২২ দশমিক ৪ শতাংশ, যা নভেম্বর মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩.৯ শতাংশে। ভারতের সেন্টার ফর মনিটরিং ইকোনমি (সিএমআইই) জানিয়েছে, কাশ্মীরে গত অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পেয়েছে দেড় শতাংশেরও বেশি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হিন্দুত্ববাদী সরকার কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসন কেঁড়ে নেবার পর থেকেই সেখানে বেকারত্ব বেড়ে চলেছে। স্বায়ত্বশাসন বাতিলের এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে কাশ্মীরে বেকারত্বের হার ১৬ শতাংশ থেকে ২২ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছিল। অর্থাৎ মাত্র এক মাসের মধ্যেই ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
স্বায়ত্বশাসন বাতিলের পর করোনা লকডাউনের সময় পর্যন্ত কাশ্মীরের ব্যবসাগুলি ১৮ হাজার কোটি রুপি ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
কাশ্মীর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (কেসিসিআই) একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, কাশ্মীরের পর্যটন ও মোবাইল সেবা ব্যবসায় নিয়োজিত প্রায় ২ হাজার দোকানের ৫ হাজার জন কর্মী তাদের আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বেতন পাননি। এছাড়াও এসময়ের মধ্যে প্রায় ৪ লাখ ৯৬ হাজার কাশ্মীরি মুসলিম তাদের চাকরি হারিয়েছেন।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে যে, কাশ্মীরে বেকারত্বের হার বাড়িয়ে সেখানের মুসলিমদের আরো দুর্বল করে ফেলতে চায় দখলদার হিন্দুত্ববাদী প্রশাসন। আর যুবসমাজের উপর বেকারত্ব চেপে বসলে অনেকেই তখন বাধ্য হয়ে সামাজিক অপরাধে জড়ায়। এতে নৈতিক অবক্ষয়ের পাশাপাশি মানুষ প্রতিরোধ স্পৃহাও হারিয়ে ফেলে। আর দখলদার হিন্দুত্ববাদীরা ঠিক এটাই কাশ্মীরি মুসলিমদের সাথে করতে চায়, যেন অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে কাশ্মীরি মুসলিমরা হিন্দুত্ববাদীদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়তে না পারে।
তথ্যসূত্রঃ
———
1. With 23.9%, Jammu Kashmir ranks third in the Unemployment charts
– https://tinyurl.com/56eu9kxa