পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় গত কয়েকদিন ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবকে সম্মুখ লড়াইয়ে কিছুটা কম দেখা গেলেও, টার্গেট কিলিং অপারেশনে সরব দেখা গেছে। এতে গাদ্দার সোমালি প্রশাসনের শীর্ষ ২ গোয়েন্দা কর্মকর্তাসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হতাহত হয়েছে।
শাহাদাহ এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল ৮ ডিসেম্বর মধ্যরাতে এধরণের একটি টার্গেট কিলিং অপারেশন চালানো হয়েছে জিজু রাজ্যের লুউক এবং দোলা শহরের সংযোগকারী সড়কে। মুজাহিদদের এই হামলার শিকারে পরিণত হয় রাজ্যটির ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি সার্ভিসের কমান্ডার-ইন-চীফ আব্দুল রহমান বাকাল কোকি এবং তার ডেপুটি আব্দুল্লাহ কিনি। হামলায় গোয়েন্দা প্রধান নিহত এবং তার ডেপুটি আহত হয়েছে।
সূত্রটি জানায়, হামলায় আহত হওয়া ডেপুটি গোয়েন্দা প্রধান আব্দুল্লাহ কিনি পূর্বে জিজু রাজ্যের বালাদ হাওয়া এবং দোলা শহরের গোয়েন্দা সংস্থার কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিল।
আশ-শাবাব জানায়, বাকাল কোকির হত্যা এবং আব্দুল্লাহ কিনির আহত হওয়ার ঘটনাটি জিজু রাজ্যে ধর্মত্যাগী মুরতাদ প্রশাসনের মুখে একটি চপেটাঘাত। একই সাথে ক্ষতিগ্রস্থ শত শত মুসলমানের পক্ষ এটি প্রতিশোধ নেওয়ার একটি প্রক্রিয়া। এই দুই অফিসারের হাতে অনেক নিরপরাধ মুসলমান শহীদ হয়েছেন। এছাড়াও অনেককে দখলদার ইথিওপিয়া এবং কেনিয়ার ক্রুসেডার গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দিয়েছিল এই দুই গাদ্দার।
এই দুই হামলা ছাড়াও মুজাহিদগণ যুবা রাজ্যের কিসমায়ো এবং শাবেলি রাজ্যের আলী-জাদুদ শহরে বেশ কয়েকটি পৃথক হামলা চালিয়েছেন। এতে গাদ্দার সোমালি বাহিনীর ৪ কমান্ডারসহ অন্তত ১৪ সেনা হতাহত হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, আল-কায়েদার পূর্ব আফ্রিকান শাখা হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন ও পশ্চিমা সমর্থিত মোগাদিশু প্রশাসনের মাঝে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তীব্র লড়াই চলছে। এই প্রক্রিয়ায় হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদিন হারানো অনেক এলাকা পুনরুদ্ধারসহ মোগাদিশু প্রশাসনের সাথে যুক্ত অনেক উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বকে হত্যা করতে সক্ষম হয়েছেন। এই সফলতা পূর্বের কয়েক বছরের চাইতেও কয়েকগুণ বেশি – আলহামদুলিল্লাহ।