সম্প্রতি পশ্চিমা ক্রীড়নক পাকিস্তান প্রশাসন ও দেশটির জনপ্রিয় প্রতিরোধ বাহিনী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) মধ্যকার দীর্ঘদিনের যুদ্ধবিরতি ভেঙ্গে গেছে। এরপরই দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা বাড়িয়েছেন টিটিপি মুজাহিদগণ। এতে প্রতিদিন গাদ্দার পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বহু সংখ্যক সৈন্য হতাহত হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রমতে, গত ৮ ডিসেম্বর পাকিস্তানের ডিআই-খান প্রদেশে পরপর ৩টি হামলা চালিয়েছেন টিটিপি মুজাহিদগণ। এরমধ্যে প্রথম হামলাটি চালানো হয় ট্যাঙ্ক জেলার তোরকারা এলাকায়। সেখানে পোলিও কর্মীদের ছদ্মবেশে গাদ্দার পাকিস্তান সেনারা মুজাহিদদের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। ফলে মুজাহিদিনরা তীব্র পালটা আক্রমণ পরিচালনা করেন। এতে গাদ্দার বাহিনীর অন্তত ৩ সৈন্য হতাহত হয় এবং বাকিরা পালিয়ে যায়।
দ্বিতীয় হামলার ঘটনাটি ঘটে ডেরা ইসমাইল খান জেলার কোট-পুলক এলাকায়। সেখানে দেশটির পুলিশ বাহিনীর একটি ইউনিটকে চতুর্দিক থেকে ঘেরাও করেন মুজাহিদগণ এবং কোন গুলাগুলি ছাড়াই তাদেরকে বন্দী করেন। এরপর তাদের সাথে থাকা অস্ত্রগুলো বাজেয়াপ্ত করে তাদেরক সুস্থাবস্থায় ছেড়ে দেয়া হয়। গত মাসেও মুজাহিদগণ এরকম ১৫ পুলিশ সদস্যকে বন্দী করার পর ছেড়ে দিয়েছেন।
অন্য হামালাটি চালানো হয়েছে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের পাটওয়ালাই এলাকায়। সেখানে গাদ্দার সামরিক বাহিনীর জন্য খাবার সরবরাহকারী একটি ট্রাক আটক করেন মুজাহিদগণ। যানবাহনে বোঝাই পণ্যগুলির মধ্যে ছিলো আটা, চিনি, চাল, শাকসবজি, ফল, চা এবং অন্যান্য পণ্য।
মুজাহিদগণ প্রয়োজনীয় মালামাল টিটিপির কেন্দ্রে পৌঁছে দেন এবং অবশিষ্ট মালামাল ধ্বংস করেন – আলহামদুলিল্লাহ। এদিকে ট্রাক চালক বেসামরিক নাগরিক হওয়ায় মুজাহিদগণ ট্রাকসহ তাকে নিরাপদে ছেড়ে দেন।
এবিষয়ে টিটিপির মুখপাত্র জানান, “আমরা ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীকে সমর্থন না করার জন্য সাধারণ জনগণকে জানিয়েছি। তা সত্ত্বেও এই বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। মুজাহিদগণ এখনও এসব চালক এবং বেসামরিক যানবাহনকে যেতে দিচ্ছে, তবে ভবিষ্যতে এই বিষয়টির সুরাহা করা হবে। তাই এ বিষয়ে বেসামরিক নাগরিকদের সতর্ক হওয়া উচিৎ।”
اللهم انصر المجاهدين في كل بلاد