জেরুজালেমে ১৩ হাজার ফিলিস্তিনির বসবাসের অনুমতি কেড়ে নিলো ইসরাইল

0
564

জেরুজালেম থেকে ১৩ হাজার ফিলিস্তিনির বাড়িঘর গুড়িয়ে দিয়ে তাদেরকে বাস্তুচ্যুত করেছে দখলদার ইসরাইল। এসব ফিলিস্তিনির জেরুজালেমে বসবাস করার অনুমতি কেড়ে নিচ্ছে ইহুদিরা। দখলদার ইহুদিরা বলছে, ফিলিস্তিনিরা আর জেরুজালেমে বসবাস করতে পারবে না। তাদের বিদেশে অথবা পশ্চিম তীরে চলে যাওয়া উচিত।

নিজ ভূমি জেরুজালেম হলেও এখন দখলদার ইসরাইলের নির্দেশে ফিলিস্তিনিদের পশ্চিম তীর চলে যেতে হবে। নতুবা তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে বলে হুমকি দিচ্ছে সন্ত্রাসী ইহুদিরা।

বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থা ইসরাইলের সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা দিয়েছিল। ইসরাইলি কোর্ট বলেছে, জেরুজালেমের ফিলিস্তিনিদের এই ভূমিতে থাকার অধিকার রয়েছে। তারা এই ভূমির আদিবাসী। তাই তাদের অভিবাসী হিসাবে গণ্য করা উচিত নয়।

তা সত্ত্বেও ইসরাইলি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনিদের আবাসিক অনুমতি কেড়ে নিয়ে বহিষ্কারের নীতি অব্যাহত রেখেছে। সম্প্রতি দালান গড়ার অনুমতি না থাকার অজুহাতে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে শত শত ফিলিস্তিনির বাড়ি ভেঙে দিয়েছে সন্ত্রাসবাদী ইহুদিরা। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ ডিসেম্বর দুটি ফিলিস্তিনি বাড়ি গুড়িয়ে দিয়েছে তারা।

ফিলিস্তিনিরা যদি একটি পুরাতন জানালাও সংস্কার করতে চান, ইসরাইল থেকে অনুমতি নিতে হয়। আর জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে খুব স্বল্প সংখ্যক ফিলিস্তিনিদেরই অনুমতি মেলে বাড়ি নির্মাণের।

অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে ৬ লক্ষ ইসরাইলি ইহুদি অবৈধভাবে বসবাস করছে। আর দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ইহুদিদের অবৈধ বসতির সংখ্যা।

কথিত আন্তর্জাতিক বিশ্ব ও জাতিসংঘ প্রতিবারই ফিলিস্তিনের সমস্যা সমাধানের মিথ্যা আশ্বাস শোনায়। বাস্তবে তারা অবস্থান নিয়েছে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইহুদি আগ্রাসনকে ইসরাইলের অধিকার বলে সাফাই গাইছে। আর ইসরাইলের সকল সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে নীরবে সমর্থন দিচ্ছে।

এ অবস্থায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায় বা জাতিসংঘের থেকে নয় বরং মুসলিম জাতিকেই নববী সুন্নাহ মোতাবেক পদক্ষেপ নেয়ার পরমার্শ হকপন্থী উলামাগণের।

তথ্যসূত্র:
১। 13,000 Palestinians stripped of their Jerusalem residency permits – https://tinyurl.com/ybm26883

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধআফগানিস্তানে ১৮০ মুজাহিদের বিশেষ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন
পরবর্তী নিবন্ধসাগরে আটকে পড়া ২০ রোহিঙ্গার মৃত্যু, বাকিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক