ভিক্ষাবৃত্তি যেকোন দেশের ক্ষেত্রেই একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হয়। আর তাই, আফগানিস্তান পুনর্গঠনে অন্যান্য সমস্যার মতো এটিকেও যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন ইমারতে ইসলামিয়া কর্তৃপক্ষ। এই সমস্যা দূর করতে নিচ্ছেন কার্যকরী পদক্ষেপ।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাবুল শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৯,৮২৭ জন ভিক্ষুককে ইমারতের হেফাযতে নেয়া হয়েছে। ইসলামি ইমারতের অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন ভিক্ষুক সংগ্রহ কমিটি এই দায়িত্ব পালন করছে।
সহকারী অর্থমন্ত্রীর অফিস সূত্রে জানা যায়, এই ভিক্ষুকদের মধ্যে ১১,২৮৫ জনই নারী। যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, তাদের মধ্যে ৪,৭৩০ জন প্রকৃত অর্থেই প্রয়োজনের স্বার্থে ভিক্ষা করছেন, আর বাকি ৬,৫৫৫ জন পেশাদার ভিক্ষুক।
এছাড়া, পুরুষ ভিক্ষুক আছে ১,৮১২ জন। তাদের মধ্যে ৬৮৪ জন প্রয়োজন মেটাতে ভিক্ষা করেছেন এবং বাকি ১১২৮ জন পেশাদার ভিক্ষুক।
সংগৃহীত ভিক্ষুকদের মধ্যে শিশু আছে ৬,৭৩০ জন। তাদের মধ্যে ২,৭৩৭ জন প্রয়োজনের স্বার্থে ভিক্ষা করেছে, বাকি ৩,৯৩১ জন ভিক্ষা করে পেশাদার হিসেবে। আর ৬২ শিশু একাকী ভিক্ষুক।
বায়োমেট্রিক্স পরীক্ষার পর, এই একাকী ভিক্ষুক শিশুদেরকে শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বোর্ডিং স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছে। সেখানে তাদেরকে খাবার দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
ইসলামি ইমারত আফগানিস্তান প্রতিনিয়ত উপযুক্ত ভিক্ষুকদেরকে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করছে। এর আগেও বিভিন্ন জায়গায় ভিক্ষাবৃত্তি দূরীকরণে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে ইসলামি ইমারত কর্তৃপক্ষ।
এটাই ইসলামি শাষণের সুন্দর্য্য, আলহামদুলিল্লাহ।
আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে ও ইসলামি শাষণের অধিন করে দিন।আমীন
আলহামদুলিল্লাহ…! খবরটি শুনে আসলেই মনটা প্রফুল্লতায় ভরে গেলো….
ইনশা আল্লাহ…! আমাদের দেশও এমন সৌন্দর্য মণ্ডিত হবে….! সেদিন কতইনা আনন্দিত হবো আমরা…..🥰
আলহামদুলিল্লাহ সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ…..।
ভিক্ষা ইসলামী শরীয়তে নাজায়েজ। বিশেষ কয়েকটি সুরতে জায়েয। সুতরাং ইমারাতে ইসলামিয়া যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা অবশ্যই প্রশংসাযোগ্য। আমাদের দেশীয় পশ্চিমাদের দোসরদের এখান থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত।