‘যদি পশ্চিমা সভ্যতাই চাইতাম, তবে ওসামাকে ওদের হাতে তুলে দিতাম’

    আলী হাসনাত

    4
    1519

    আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারীদের উপযোগী শিক্ষা পরিবেশ ও ব্যবস্থা গড়ে তোলা পর্যন্ত নারী শিক্ষা সাময়িকভাবে বন্ধ করায় বিভিন্ন সুশীল মহল থেকে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের ব্যাপারে কড়া সমালোচনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই অন্ধ ও এক চোখা সমালোচকদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী মৌলভি নিদা মোহাম্মদ নাদিম (হাফি.)।

    তিনি বলেন, “আমরা এখানে পরিপূর্ণ খাঁটি ইসলাম চাই, পশ্চিমাদের কথিত আধুনিক সভ্যতার নামে বেহায়াপনা চাই না। আর যদি এমনটা চাইতাম তাহলে ২০ বছরের দীর্ঘ যুদ্ধের প্রয়োজন ছিলো না। আর ওসামা বিন লাদেনকেও নিরাপত্তা দেওয়ার কোনো মানে ছিলো না।”

    গত ২৬ ডিসেম্বর সামাজিক নেটওয়ার্কগুলিতে প্রকাশিত একটি ভিডিওত শাইখ নাদিম (হাফি.) বলেছেন, “কেউ কেউ অভিযোগের সুরে বলছেন, কেন আপনি মেয়েদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলছেন না, সহশিক্ষার অনুমতি দিচ্ছেন না, মহিলাদের অবাধে কাজ করার অনুমতি দিচ্ছেন না এবং জাতীয় স্বার্থে মনোযোগ দিচ্ছেন না?

    “এই প্রশ্নগুলো একদিনে তাদের মাঝে তৈরি হয় নি। বরং, দখলদারিত্বের বছরগুলোতে শিক্ষার নামে এসব পশ্চিমা চিন্তাধারা তাদেরকে গেলানো হয়েছে। তাই তাদের এটা ভালোভাবে জানা উচিৎ যে, আমাদের কাছে মহান রব্বুল আলামিনের প্রেরিত ধর্ম ইসলাম অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”

    তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা যদি পশ্চিমাদের গেলানো কথিত আধুনিক সভ্যতা চাইতাম এবং তারা যে নগ্নতাকে উন্নতি বলছে তা চাইতাম, তাহলে সেটা আমরা দুই দশক আগেই পারতাম। আমাদের সামনে সুযোগ ছিলো ওসামা বিন লাদেনকে আমেরিকার হাতে তুলে দেওয়ার এবং নারীদের স্বাধীনতার নামে সমাজকে বেহায়াপনার দিকে ঠেলে দেওয়ার। কিন্তু আল্লাহ্ সুবহানাহু তা’আলা কাফেরদের অনুরোধ গ্রহণ করার অনুমতি আমাদেরকে দেন না।

    “আল্লাহ্ সুবহানাহু তা’আলা আমাদেরকে ক্ষমতা দিয়েছেন, যেন আমরা শরিয়াহ্ বাস্তবায়ন করতে পারি। আর এই শরিয়াহ্ বাস্তবায়ন ও পশ্চিমাদের বিতাড়িত করতে দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধে আমাদের অসংখ্য বোন বিধবা হয়েছেন, সন্তানরা এতিম হয়েছেন, বাবা-মা সন্তান হারা হয়েছেন। তারপরও তাঁরা নতি স্বীকার করেননি। তাহলে আমরা এখন কীভাবে পশ্চিমাদের তৈরি কতিপয় মস্তিষ্কের (লোকের) কথায় আল্লাহর শরিয়াহ্ ও জনগণের বিপক্ষে যেতে পারি!?

    “তাই আমরা এখানে পরিপূর্ণ শরিয়াহ্ বাস্তবায়ন করতে এবং নারীদের নিরাপত্তার জন্য হিজাব বাধ্যতামূলক করতে বাধ্য। এর ফলে পুরো বিশ্বও যদি আমাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, এমনকি পারমাণবিক বোমাও মারা হয়, তথাপি আমরা শরিয়াহ্ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত থেকে পিছপা হবো না।”

    উল্লেখ্য, ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান প্রশাসন গত সপ্তাহে সাময়িকভাবে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গমন এবং বেসরকারি ও বিদেশি সংস্থার হয়ে কাজ করা নারীদের কিছুদিনের জন্য কর্মবিরতি নেওয়ার বিষয়ে দুটি ডিক্রি জারি করে। এই ডিক্রি থেকে ইমারাতে ইসলামিয়ার প্রশাসনিক দায়িত্বরত নারী, চিকিৎসক ও দ্বীনি প্রতিষ্ঠানগুলোতে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের খারিজ করা হয়।

    4 মন্তব্যসমূহ

    1. আল্লাহু আকবার!

      “……..এর ফলে পুরো বিশ্বও যদি আমাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, এমনকি পারমাণবিক বোমাও মারা হয়, তথাপি আমরা শরিয়াহ্ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত থেকে পিছপা হবো না।”

    2. allahu akbar, lakal hamdu ya rob

      “তাই আমরা এখানে পরিপূর্ণ শরিয়াহ্ বাস্তবায়ন করতে এবং নারীদের নিরাপত্তার জন্য হিজাব বাধ্যতামূলক করতে বাধ্য। এর ফলে পুরো বিশ্বও যদি আমাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, এমনকি পারমাণবিক বোমাও মারা হয়, তথাপি আমরা শরিয়াহ্ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত থেকে পিছপা হবো না।”

    3. আলহামদুলিল্লাহ,,, এই কঠিন মূহূর্ত আল্লাহর খেলাফার অতন্দ্র প্রহরী গন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন,, আর কুকুরের ঘেউ ঘেউ কড়া জবাব দিয়েছেন।

    মন্তব্য করুন

    দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
    দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

    পূর্ববর্তী নিবন্ধফটো রিপোর্ট || উইঘুরদের নিয়ে টিআইপি-র নতুন ভিডিও প্রকাশ
    পরবর্তী নিবন্ধইয়েমেনে একিউএপি-র হামলায় কর্নেলসহ হতাহত ২ ডজন গাদ্দার