মুজাফফরনগর সহিংসতা ও গণধর্ষণ: ন্যায় বিচার মিলবে কি?

0
211
দাঙ্গার একটি দৃশ্য

উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগর জেলায় ২০১৩ সালে মুসলিম বিরোধী সহিংসতায় কমপক্ষে ৪২ জন মুসলিম নিহত হয়েছিলেন। এই দাঙ্গায় বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন ৫০,০০০ এরও বেশি মানুষ। এদের বেশিরভাগই মুসলিম। এছাড়াও গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন অসংখ্য মুসলিম নারী। এই নৃশংস গণহত্যা ও গণধর্ষণের ১০ বছর পার হয়েছে। আর বিচারের নামে প্রহসন দীর্ঘায়িত হয়েছে।

এই ১০ বছরে ঐ নৃশংস ঘটনাগুলোর মাত্র একটির বিচার হয়েছে। গত ০৯ মে ঐ দাঙ্গায় এক মুসলিম মহিলাকে গণধর্ষণের একটি মামলার রায় হয়েছে। অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদেরকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ধর্ষণের শিকার মুসলি নারী জানিয়েছেন, দাঙ্গার সময় তিন জন লোক তাকে মারধর ও ধর্ষণ করেছে। ঘটনার সময় তার তিন মাস বয়সী ছেলেকে তারা জিম্মি করে রেখেছিল।

ভারতে মুসলিম গণহত্যা কিংবা মুসলিম নারীদের গণধর্ষণের ঘটনাগুলো সিংহভাগই ন্যায় বিচারের মুখ দেখে না। যেমন, অনেক কাঠখড় পুড়িয়েও বিচার পাননি গুজরাটে হিন্দুদের সহিংসতা ও গণধর্ষণের শিকার বিলকিস বানু। আদালতে সাক্ষ্য প্রমাণ সাবস্ত হওয়ার পরেও বিচারক অপরাধী হিন্দুদের মুক্তি দেয়। অথচ এই নৃশংস অপরাধীরা ৬ মাসের গর্ভবর্তী বিলকিস বানুকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছিল। এমনিভাবে আসিফা বানুকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও খুন করার ঘটনায়ও কোন বিচার হয়নি।

তথ্যসূত্র:
——
1. Two convicted for gang rape during Muzaffarnagar violence
https://tinyurl.com/25b9ukpw

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘দ্য কেরালা স্টোরি’: মুসলিম গণহত্যার প্রেক্ষাপট তৈরির নতুন ইস্যু
পরবর্তী নিবন্ধবিমানবন্দর আধুনিকায়নে ইসলামি ইমারতের কার্যকরী পদক্ষেপ